বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে ম্যানিলা ভিত্তিক এই সংস্থা বলেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে, যা সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশ কম।
মেয়াদের শেষ বছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশা প্রকাশ করেছে।
বুধবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৩’ উপস্থাপন করেন সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল ইকনোমিস্ট মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনই বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস দেন সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি তেরেসা খো ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে সংঘাতময় রাজনীতির আশংকা করা হচ্ছে।
আর এই সংঘাত-অস্থিরতা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে।
এডিবি মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় ও বিদেশি সহায়তাও কমে যেতে পারে। পাশাপাশি কমতে পারে বিনিয়োগ। রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্মেও এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও শিল্প খাতে আগের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হবে।
এছাড়া ‘প্রয়োজন হলেও’ রাজনৈতিক চাপে সরকার জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
“এ সব কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। ”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক হিসাবে (ভিক্তিবছর ১৯৯৫-৯৬) গত অর্থবছরে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
তবে নতুন ভিত্তিবছরের (২০০৫-০৬) হিসাবে এই হার ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
(আরো বিস্তারিত আসছে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।