ম্যান সিটির জন্য জয়টা দারুণ স্বস্তির। গত শনিবার ইপিএলে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়ার পর বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছেও ৩-১ গোলে হেরে যায় তারা।
৭টি করে ম্যাচ খেলে ম্যান সিটির ১৩ আর এভারটনের ১২ পয়েন্ট।
শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পেলেও ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ১৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে সমর্থকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ম্যান সিটি।
এভারটনকে এগিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব চেলসি থেকে ধারে খেলতে আসা রোমেলু লুকাকুর।
ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার ফিল ইয়াগিয়েলকার পাস থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত গতিতে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। তার কোণাকুণি শট স্বাগতিকদের গোলরক্ষক জো হার্ট লাফিয়ে বিপদমুক্ত করা চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি।
তবে পরের মিনিটেই সমতা নিয়ে আসেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলভারো নেগ্রেদো। আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইয়া ইয়া তোরের পাস থেকে তার শট জালে জড়িয়ে যায়।
৩৯ মিনিটে ২০১১-১২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেয়ার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার স্যার্হি্ও অ্যাগুয়েরো।
কিন্তু নেগ্রেদোর পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
তবে বিরতির ঠিক আগে দলকে হতাশ করেননি অ্যাগুয়েরো। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দাভিদ সিলভার পাস থেকে কোণাকুণি শটে ব্যবধান ২-১ করেন তিনি।
৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যান সিটির জয় নিশ্চিত করা গোলটিও অ্যাগুয়েরোর। যদিও পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা ছিল বিতর্কিত।
বক্সের মধ্যে ম্যান সিটির আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতা ও এভারটনের আইরিশ মিডফিল্ডার শেমাস কোলম্যানের বল দখলের লড়াইয়ের সময় জাবালেতা পড়ে যান। দুজনের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ না হলেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।