নীলফামারীর ভ্যানচালক রশিদুল ইসলামের ছেলে মামুন মিঞার স্বপ্নপূরণে দেশ-বিদেশের প্রথম আলোর অসংখ্য পাঠক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
মামুনের স্বপ্ন পূরণ হবে কি? শিরোনামে গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোয় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রথম আলো কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করে অনেকেই সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মামুনের লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নিতে চান। কেউ মাসিক হিসাবে বা এককালীন সহায়তার আশ্বাস দেন।
জনৈক ঊর্মি ঢাকা থেকে মামুনের মেডিকেলে পড়ার সব দায়িত্ব নিতে চান। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কাজী তৌহিদুল আলম প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
নীলফামারীর নীলসাগর অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, মেডিকেল কলেজে মামুনের লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীলসাগর প্রয়োজনমতো সহযোগিতা দেবে।
ঢাকা থেকে ব্রিগেডিয়ার বাহার জানান, তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মামুনের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবেন। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের অনীল চন্দ্র পাল ও সাইফুর রহমান, সুইজারল্যান্ডপ্রবাসী মীর ইমরান, কানাডাপ্রবাসী আকরামুল ইসলাম খান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী, কক্সবাজার থেকে সুজায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রীতম, ঢাকা থেকে জাহিদুল ইসলাম, শাহনাজ কাফী, ফয়সাল আহম্মেদ ও চিকির্যাসক তামান্না, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকারসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশিবাই গ্রামের ভ্যানচালক রশিদুল ইসলামের ছেলে মো. মামুন মিঞা গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।