আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুনে কিভাবে তাজা থাকে গ্রেনেড?

যে জেলে নিরুপায় বুকে হাত দিয়ে বসে আছে আমি তার কথা ভাবি

চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের পর প্রায় ঘন্টাখানেক আগুন জ্বললেও মাদ্রাসার ভেতর ওই কক্ষ থেকে তাজা গ্রেনেড পাওয়া যাই। সোমবার সেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা পুরোটাই সাজানো। কওমী মাদ্রসার উপর দমন পীড়ন চালানো এবং লালখান বাজার মাদ্রসার দখলের চক্রান্ত হিসেবে মাদ্রসার পরিচালকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা করে হয়রানি করছে। গত ৭ অক্টোবর সোমবার চট্টগ্রামের জামিয়াতুল উলূম আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদ্রাসরায় বৈদ্যুতিক আইপিএস, গ্যাস সিলিন্ডার ও রান্নার তেলের চুলা থেকে সৃষ্ট আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনাকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ ও কতিপয় মিডিয়ার বাস্তবতাবর্জিত দায়িত্বহীন প্রচারণার মাধ্যমে বোমা ও গ্রেনেড তৈরির বানোয়াট গল্প বানিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। পরে সেই অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিয়ে পবিত্র কুরআন-হাদীসের জ্ঞান আহরণরত দেড় হাজার ছাত্রকে বের করে দিয়ে সকল ক্লাস রুম ও আবাসিক হোস্টেল তালাবদ্ধ করে দেয়।

একই সঙ্গে মাদ্রাসার বৃহৎ জামে মসজিদটিতে আজান ও নামাজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসা ও মসজিদের ফটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থানের কারণে স্থানীয় মুসল্লিরা হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারছেন না। ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যেখানে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ ঘটনাস্থল সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন। এটা যে একটি স্বাভাবিক দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণ তারা সকলেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করেন। মাগরিব পর্যন্ত মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলামসহ সকল ছাত্র-শিক্ষক মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পর রহস্যজনকভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় হাতে তৈরি গ্রেনেড, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাওয়া গেছে বলে প্রচারণা শুরু করা হয়। সন্ধ্যার পর অভিযান চলাকালে সেখানে কোনো জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় জনসাধারণ কিংবা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হয়নি, কাউকে উদ্ধারকৃত এসিডের বোতল, গ্রেনেড, গুলি ইত্যাদি কিছুই তাৎক্ষণিকভাবে দেখাতে পারেনি। পুরো ঘটনাকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মিডিয়ায় প্রচার করানো হয়েছে। প্রশ্ন, ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, যুবলীগ নেতা খুনি দিদারুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে মাদরাসার বিরুদ্ধে শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল কীভাবে হতে পারলো? স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে পুলিশ মাদ্রাসায় রাতের আঁধারে কেন তল্লাশি চালালো? অগ্নিকান্ডে এতো কিছু পুড়ে গেল, তথাকথিত গ্রেনেড কীভাবে অবিস্ফোরিত ও তাজা রয়ে গেল? এমন একটি রহস্যজনক ও সাজানো নাটকের জের ধরে প্রশাসন কার ইঙ্গিতে মাদরাসা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের জ্ঞান আহরণত সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষককে এক কাপড়ে জোরপূর্বক বের করে দিলেন। পুরো মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো কাকে খুশি করার জন্যে? নিছক একটি দুর্ঘটনাকে মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে।

" আহতদের শরীরে স্প্লিন্টার কিংবা ওই ধরণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি এই ধরণের কোন ক্ষতও তাদের শরীরে নেই। অন্যান্য যারা আছেন তারাও আগুনে পুড়েছেন। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা অপরাধ দমন বিভাগ সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার জানান সেখানে মানুষের শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমাদের চোখে পড়েনি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।