ঘূর্ণিঝড় পাইলিন বঙ্গোপসাগরে এখনো পর্যন্ত যেভাবে, যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওডিশায় আঘাত হানতে পারে এটি। আঘাতের সময় আগামীকাল শনিবার বিকেলবেলা।
তবে পাইলিন যে দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না, সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহ আলম জানান, পাইলিনের লক্ষ্যস্থল কোথায়, সে সম্পর্কে আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বিকেল পাঁচটার সময় বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল পাইলিন।
এজন্য চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে জানা গেছে, দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ ও ওডিশার কালিঙ্গাপট্টনাম এবং গোপালপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় পাইলিন। ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এর সর্বোচ্চ গতি ২০৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার। পাইলিনের প্রভাবে দেড় থেকে দুই মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
কোথাও বা আড়াই মিটার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু যেখানেই হামলে পড়ুক না কেন, পাইলিনের প্রভাবে আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হবে। তবে আবহাওয়াবিদেরা আশা করছেন, আগামী বুধবার কোরবানির ঈদের আগে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।