আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারিকেন ক্যাটরিনার চেয়েও মারাত্মক হতে পারে ‘পাইলিন’

এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনলাইন ম্যাগাজিনের আবহাওয়াবিদ এরিক হোলথাস।
ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় ‘পাইলিন’। ঘণ্টায় ২১০ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে ৪ মাত্রার এই ‘সাইক্লোন’ শনিবার বিকাল নাগাদ উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
তবে লন্ডন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, পাইলিন আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩১৫ কিলোমিটারে পৌঁছে এটি ৫ মাত্রার ‘সাইক্লোনে’ রূপ নিতে পারে। আর তা হলে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে পাইলিন।


যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক অনলাইন কার্জ ম্যাগাজিনের আবহাওয়াবিদ এরিক হোলথাস বলেন, ভারতের আবহাওয়া দপ্তর যে পূর্বাভাস দিয়েছে তার চেয়ে এরই মধ্যে বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে পাইলিন।
এ ঘূর্ণিঝড়রের বাতাসের গতিবেগ এখনই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শক্তিশালী হারিকেন ক্যাটরিনার সমপর্যায়ে পৌঁছেছে বলে স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে, জানান এরিক।
তিনি বলেন, “আবহাওয়াবিদ হিসাবে আমি যতটুকু জানি তাতে এ ঘূর্ণিঝড়কে ৫ মাত্রার হারিকেনই বলা যায়। যা বিশ্বে এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন। ভারত মহাসাগরে এটিই হতে পারে এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়”।


২০০৫ সালের ২৯ অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় শক্তিশালী হারিকেন ক্যাটরিনায় ১,৮০০ মানুষ নিহত হয়েছিল। উদ্বাস্তু হয়েছিল ২১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ৭ হাজার ৫শ কোটি ডলারের।
কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের ঘূর্ণিঝড় পাইলিন ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের মতো ধ্বংস ডেকে আনতে পারে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছেন কোনো কোনো আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ।
১৯৯৯ সালে ঊড়িষ্যা উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই সাইক্লোনে নিহত হয়েছিল ১০ হাজার মানুষ।

ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩শ’ কিলোমিটার।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য পাইলিনকে এতটা মারাত্মক ঝড় হিসাবে দেখছে না এবং ঝড়টি ভারতের আয়তনের প্রায় অর্ধেক বিস্তৃতির বলে যে খবর পাওয়া গেছে তাও তারা নাকচ করেছে।
ভারতীয় আবহওয়া দপ্তরের মহাপরিচালক এল এস রাথোর এক সংবাদ সম্মেলনে শক্তিমত্তার দিক থেকে ১৯৯৯ এর সাইক্লোনের সঙ্গে পাইলিনের কিছুটা মিল আছে বলে স্বীকার করলেও বলেছেন, ঝড়ের অবস্থান এবং গতিবিধির ভিন্নতার কারণে একটি ঘূর্ণিঝেড়ের সঙ্গে আরেকটির তুলনা করা কঠিন এবং এর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা করাও কঠিন।
কিন্তু হোলথাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ঝড়ের প্রকৃত স্বরূপ আমলে না নেয়া হলে প্রাণহানি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.