রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই নিরাপত্তার জন্য হুমকি। স্বাধীনতার চলি্লশ বছর পরেও সরকারের মেয়াদ শেষ হলে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সংস্কৃতি তৈরি হয়নি। নানা অঘটনের পরে কিছু প্রাণহানি ঘটে। তারপরে একটা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়। এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
বৃহস্পতিবার বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখীতে সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় জিরো আওয়ারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সংবিধান বহাল আছে সে মতে সরকারের মেয়াদের শেষ সময় ২৪ অক্টোবর নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ সংসদের মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি। এর তিন মাস পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যেসব কথা বলছে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি করে। সবার মনে প্রশ্ন জাগে, সরকারবিহীন অবস্থায় দেশের কী হবে? কারণ রাষ্ট্র থাকলে এটিকে পরিচালনার জন্য সরকার হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর বাংলাদেশ হচ্ছে গণতান্ত্রিক পন্থায় গণতান্ত্রিক সরকার। এই গণতান্ত্রিক সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটে। তিনি আরও বলেন, এখন কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
এটা জাতি আশা করে। সেই গন্তব্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। তাই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন কিছু দিনের মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে। এই কারণে বিভিন্ন উগ্রবাদী সংগঠনের কর্মকাণ্ড বাড়বে।
জঙ্গি সংগঠনগুলো তৎপর হবে। সব মানুষকে তারা আক্রমণ করবে। সবাই মনে করছে এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ বলেন, প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনের একটি কৌশল আছে। একটি রাজনৈতিক অন্যটি সামরিক কৌশল।
তারা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়িত করে। এইখানে সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে রাজনৈতিক এজেন্ডার মাধ্যমে ইসলামের নাম দিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ ও জিহাদি কার্যক্রম করছে। দেশে জঙ্গি বৃদ্ধি পায় কার কতো শো ডাউন তা প্রকাশের মাধ্যমে। আর জঙ্গিকার্যক্রমে সরকার সহযোগিতা এবং অর্থায়ন করলে।
তিনি বলেন, দেশে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গোয়েন্দা কৌশল থাকলেও তাদের ফাঁকি দিয়ে জঙ্গিরা একটা আক্রমণ করে ফেলতে পারে।
তারা সুষ্ঠু পরিবেশকে প্রভাবিত করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।