বহুল আলোচিত পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই আসলে পাকিস্তানিই নয়। তার জন্ম হাঙ্গেরিতে। মালালা নামটিও নকল,তার আসল নাম জেইন। এমনকি তার বর্তমান বাবা-মা'ও আসল নয়। তার প্রকৃত বাবা-মা দুজনই খ্রিস্টান মিশনারিজের সদস্য।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার অনলাইন ব্লগের একটি লেখায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে লেখাটি একটা 'ফিকশন'।
ব্লগে বলা হয়েছে-
মালালা সোয়াতে জন্মগ্রহণ করেনি, এমনকি সে পশতুনও না। সোয়াতের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ইমতিয়াজ আলী খানজাই ডনের প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তার কাছে ডিএনএ পরীক্ষার ফল আছে যা প্রমাণ করে মালালা পশতুন না। একটি রিপোর্ট দেখিয়ে তিনি জানান, তিনি মালালার ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন। সে সময় মালালা শিশু ছিল। তখন কানের সমস্যা নিয়ে তার কাছে এসেছিল।
ডাক্তার ডিএনএ পরীক্ষায় দখেতে পান, মালালা আসলে ককেশীয় এবং সম্ভবত পোল্যান্ড থেকে এসেছে। এরপর তিনি মালালার বাবাকে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি মালালার আসল পরিচয় জানি। এ কথা শুনে মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই ঘাবড়ে যান। তিনি বলেন, এ কথা আমি যেন জনসম্মুখে না বলি। আমি তাকে বলি, আপনি যদি সত্য ঘটনা খুলে বলেন তবে কাউকে বলব না।
মালালার বাবা ডাক্তারকে বলেন, মালালার প্রকৃত নাম জেইন। ১৯৯৭ সালে সে হাঙ্গেরিতে জন্ম গ্রহন করেছে। তার প্রকৃত বাবা-মা খ্রিষ্টান মিশনারি ছিল যারা ২০০২ সালে সোয়াতে বেড়াতে এসেছিল এবং মালালাকে উপহার হিসেবে তার কাছে রেখে যায়। ওই সময় তারা গোপনে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এ সময় ডনের প্রতিবেদক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি মালালার আসল পরিচয় এখন প্রকাশ করছেন, তখন ডাক্তার বলেন, “তিনি মনে করেন মালালাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাঁড়াতে পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হয়েছিল।
”
গুলিবর্ষণকারীর ডিএনএ পরীক্ষা করে ডাক্তার আবিষ্কার করেন, সে ইতালি থেকে এসেছে। ডাক্তার বলেন, আমি ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়গুলো জানিয়ে ইমেইল করি। এর কয়েক দিন পর তার ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান চালায়। তার কয়েকজন কর্মচারী সে সময় পুলিশের মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছিল।
তিনি জানান, এ বছরের জুন মাসে ডাক্তার আইএসআইয়ের একজন তরুণ অফিসারের কাছে যান।
ওই অফিসার অভিযানের জন্য তার কাছে ক্ষমা চান। অফিসার ডাক্তারকে বলেন, আইএসআই মালালার আসল পরিচয়ের ব্যাপারে সতর্ক আছে। অনেক অনুরোধের পর ডাক্তার ওই আইএসআই অফিসারের মোবাইল ফোনের নাম্বার দিয়ে দেন। এরপর সেই ডাক্তার আইএসআই অফিসারের নম্বর দেন ডনের প্রতিবেদককে। ডনের প্রতিবেদকের সাথে অফিসার দেখা করেন সোয়াতের একটি পরিত্যক্ত স্কুলে।
আইএসআইর সেই অফিসার ডনের প্রতিবেদককে জানান, মালালার ওপর হামলার ঘটনা পাতানো হয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পথ পরিষ্কার করতে পুরো ঘটনাটি পাকিস্তান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল। অফিসার জানান, “এটা একটা নাটক। পাকিস্তান সেনাবাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তান আক্রমণের একটি অজুহাত দাঁড় করাতে এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। "
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।