মালালার আসল রূপ :
জন্ম হাঙ্গেরিতে, ধর্ম
খৃষ্টান
ইসলামাবাদ: বহুল আলোচিত
পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই
আসলে পাকিস্তানিই নয়। তার জন্ম
হাঙ্গেরিতে। মালালা নামটিও
নকল, তার আসল নাম জেইন।
এমনকি তার বর্তমান বাবা-মাও
আসল নয়। তার প্রকৃত বাবা-মা দুজনই
খ্রিস্টান মিশনারিজের সদস্য।
তারা মালালাকে বর্তমান
পাকিস্তানি পিতা-
মাতাকে উপহার
হিসেবে দিয়ে যান। তবে এজন্য
তাদেরকেও খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ
করতে হয়। আর তাকে গুলি করার
ঘটনাটিও ছিল গোয়েন্দাদের
সাজানো।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার
একটি বিশেষ
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন
চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গত
এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের
প্রভাবশালী এই দৈনিক
পত্রিকাটি একটি চৌকস
সাংবাদিক গ্রুপ সোয়াত
উপত্যকায় পাঠায়।
দীর্ঘ পাঁচ
মাসের অনুসন্ধানের পর তথ্য-
প্রমাণসহ তারা যে প্রতিবেদন
পেশ করেছে, তাতে সকলের চোখ
চড়ক গাছ হওয়ার মতো।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
সোয়াত উপত্যকায়
মালালা নামের ১৫ বছরের
একটি স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তালেবান
যোদ্ধাদের হামলায় মাথায় ও
মুখে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে খবর
পাওয়া যায়।
পরে এটি ব্যাপকভাবে পাকিস্তানের
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক
গণমাধ্যমে প্রচার পায়।
পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যের
ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রম
এবং মাথা-মুখে একাধিক
অস্ত্রোপচারের পর মালালা সুস্থ
হয়ে উঠে।
এখন মালালা বাস
করছে যুক্তরাজ্যে এবং সে পাকিস্তানে নারী শিক্ষার
অকুতোভয়ে কাজ করে যাওয়ার
আতœপ্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন।
বিশেষ
করে যেসব
স্থানে তালেবানরা মেয়েদের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে, সেই
স্থানেই তিনি তার এই সংগ্রাম
চালিয়ে যাবেন। কিন্তু
মালালা কাহিনীর
এটা একটা দিক মাত্র।
ডনের
অনুসন্ধানী টিমটি জানিয়েছে,
মালালা পাকিস্তানি নয়
এবং তার জন্মও পাকিস্তানে নয়।
তিনি পশতুভাষীও নন। সোয়াত
এলাকার খ্যাতিমান ডাক্তার
ইমতিয়াজ আলী খানজাই
জানিয়েছেন, তার
কাছে মালালার ডিএনএ রিপোর্ট
রয়েছে যা প্রমাণ
করে মালালা পশতুভাষী নয়।
ইমতিয়াজ আলী খানজাই সোয়াত
উপত্যকায় একটি প্রাইভেট
ক্লিনিক পরিচালনা করেন।
তিনি ডিএনএ রিপোর্টের
একটি কপি সাংবাদিকদের
কাছে দিয়ে বলেন,
মালালা ছোটবেলায় তার
ক্লিনিকে কান ব্যথার চিকিৎসার
জন্য এসেছিলেন।
তিনি বলেন, গত বছর মালালা আহত
হওয়ার পর হঠাৎ আমার
মনে পড়লো তার কানের কিছু খইল
আমার শিশিতে রাখা আছে।
রোগীদের কানের খইল
সংগ্রহে রাখা আমার একটা শখ।
তিনি দাবি করে বলেন, ডিএনএ
অনুসারে মালালা একজন
ককেসিয়ান।
সম্ভবত
তারা এসেছেন পোল্যান্ড
থেকে। ডাক্তার যখন মালালার
পরিচয়সূত্রটি তার বাবাকে বলেন,
তখন তিনি থতমত খেয়ে যান
এবং তোতলাতে থাকেন।
ইমতিয়াজ আলী খানজাই বলেন,
মালালার পিতা তখন
ডাক্তারকে অনুরোধ করেন
তিনি যা জেনেছেন সেটা যেন
কাউকে না বলেন।
আমি তাকে কাউকে বলব না,
কিন্তু তাকে আমার কাছে আসল
ঘটনা বলতে হবে।
মালালার পিতা জানান,
মালালার আসল নাম জেইন।
তার
জন্ম হাঙ্গেরিতে ১৯৯৭ সালে।
তার আসল বাবামা দুজনই
খ্রিষ্টিয়ান মিশনারিজ।
তারা ২০০২ সালে সোয়াত
এলাকায় আসেন।
তারা মালালাকে বর্তমান
পিতামাতাকে উপহার
হিসেবে দেন।
বিনিময়ে গোপনে তাদেরকেও
খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে হয়।
তিনি বলেন, তিনি এখন
বুঝতে পেরেছেন
মালালাকে আসলে একটি পাকিস্তান
বিরোধী উপকরণ
হিসেবে সোয়াতে রেখে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তিনি প্রমাণ
করে দিতে পারবেন যে তরুণ
মালালাকে গুলি করেছে সে পশতুভাষী নয়।
সেই তরুণেরও কানের খইল তার
কাছে আছে।
সেই তরুণের ডিএনএ’র কথা উল্লেখ
করে তিনি বলেন, তরুণটি সম্ভবত
ইতালির অধিবাসী। তারপর
তিনি একটি মাইক্রোস্কোপের
মাধ্যমে সাংবাদিকদের তরুণটির
কানের খইল দেখান।
ডাক্তার আরো বলেন,
তিনি যা জেনেছেন
তা সঙ্গে সঙ্গে ই-মেইলের
মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের
গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে জানিয়েছেন।
এর কয়েকদিন পরই পুলিশ
ক্লিনিকে হানা দেয়। তিনি তখন
ছিলেন সৌদি আরব।
সেখানে গিয়েছিলেন
সৌদি রাজ পরিবারের
কয়েকজনের কানের খইল যোগাড়
করার জন্য। পুলিশ কানের
খইলগুলো কোথায়
রাখা হয়েছে তা জানার জন্য
তার ক্লিনিকের কর্মচারীদের
সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।
এ বছরের জুন মাসে একজন আইএসআই
সদস্য তার ক্লিনিকে আসেন
এবং পুলিশের হামলা ও
দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চান।
আইএসআই সদস্য তাকে বলেছেন,
মালালার আসল পরিচয়
সম্পর্কে আইএসআই ওয়াকিবহাল
আছে।
ঐ আইএসআই কর্মকর্তার ফোন
নাম্বারও তিনি সাংবাদিকদের
সরবরাহ করেন। ঐ কর্মকর্তা কিছুতেই
সাংবাদিকদের
সঙ্গে কথা বলবেন না।
পরে তিনি ‘মাস্টার
এক্স’ ছদ্মনামে কথা বলতে রাজি হন।
সূত্রঃ DAWN.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।