জন্মদিন। সে একটা নির্দিষ্ট দিনে এসে আমার সাথে দেখা করে। দরজায় কড়া নাড়ে। আমি দরজা খুলে দেখি সে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকে ভেতরে নিয়ে আসি।
আনন্দের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাই নিজেকে। তাও কেন যেন অস্থিরতা লাগছে। মৃত্যু। প্রতিটা মুহুর্ত আমায় অস্থির করে রাখে। ক্ষণে ক্
-মামুর বেটা খালু,আইজকা যদি মাইয়াডারে প্রপোজ না করছস তাইলে তোর ঠ্যাং ভাইঙ্গা মুরগীরে খাওয়ামু।
-আমার ডর লাগে দোস্ত!
-গুষ্টি কিলাই তোর ডরের!আইজকাই প্রপোজ করবি। নাইলে কইলাম তোর বংশবৃদ্ধির যন্ত্র এক্কেরে গালাইয়া ফালামু।
-ইতা কইস না দোস্ত!যদি থাপ্পড় দিয়া বসে!
-দিলে মনে করবি মাইয়াও তোরে ভালোবাসে।
-সত্যি কইতাছস তো!
-না আমি মিছা কথা কইতাছি। অখন যা।
তারেকের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে নবীন কলেজের বাথরুমের দিকে দৌড় দেয়। প্রচুর বেগ পেয়েছে তার। বাথরুমে বসে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা যাবে সব।
বাথরুম থেকে বের হতে না হতেই নবীন তারেকের সামনে পড়ে যায়। কোনমতে ঢোক গিলে বলে "দোস্ত,প্রপোজ করার আগে একটু ফ্রেশ হইলাম।
"
তারেক কোন কথা না বলে নবীনের হাত ধরে টানতে টানতে ক্যান্টিনে নিয়ে যায়। নবীন ক্যান্টিনে গিয়েই দেখে তার মনের ললনা দাঁড়িয়ে আছে। বুক কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে তার। ঢোক গিললো বার দুয়েক। তারেক নবীনের হাতে লাল গোলাপটা গুঁজে দিয়েই এক ধাক্কায় নবীনকে মেয়েটার কাছে পাঠিয়ে দিলো।
এরপর তারেক সেখান থেকে চলে আসে।
নবীনের পা কাঁপছে। মেয়েটা ভ্রু কুঁচকে নবীনকে দেখছে। নবীন কোন কিছু না ভেবেই চোখ বন্ধ করে গোলাপটা বাড়িয়ে দিলো। মেয়েটা হাঁসছে নবীনের কান্ড দেখে।
বেশ জোড়েই একটা চড় বসিয়ে দিলো নবীনের গালে।
নবীন চড় খেয়ে চোখ মেলে তাকালো। চিন্তা করছে মেয়েটা যে তাকে চড় মেরেছে এটা কিসের লক্ষণ?মেয়েটা কি তাকে ভালোবাসে?
ঠাশ!এগেইন চড়!মেয়েটা আবার নবীনের গালে চড় মেরেছে। নবীন থ মেরে দাঁড়িয়ে আছি। হটাত্ ব্যাথায় নবীনের চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো। মেয়েটা নবীনের কান্না দেখে হাসতে লাগলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।