সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠায় পুরুষদেরকে নারীদের পোশাক পরা উচিত বলে মনে করে আলোচিত নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।
রোববার ‘ফ্রিথটসব্লগ’ নামের একটি ব্লগে এ নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
তসলিমা বলেন, "আজ (১২ জানুয়ারি) ইন্ডিয়াতে এক দল পুরুষ রঙিন স্কার্ট পরে নারী এবং নারীদের অধিকার রক্ষায় শপথ নিয়েছে। আমি সত্যিই এই ২৫ পুরুষকে পছন্দ করি, যারা নারীদের পোশাক পরার সাহস দেখিয়েছে। "
“এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় পুরুষরা স্কার্ট পরে।
স্কটল্যান্ডে পরে থাকে। সুতরাং স্কার্ট পরা অসাধারণ কিছু নয়। স্কার্ট পুরুষদের ফ্যাশনের অনুসঙ্গ দাড়িয়েছে! ২০১৩ সালে লন্ডনে পুরুষদের ফ্যাশন সপ্তাহে স্কার্ট পরিহিত পুরষরা মঞ্চে একটি ইভেন্টে অংশ নেয়। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পুরুষরা নারীদের জুতা পরে। "
তিনি বলেন, "অনেকে বলছে যে, পুরুষরা নারীদের পোশাক পরলেই নারীদের জন্য সমতা নিয়ে আসবে না।
যেন পুরুষরা পুরুষদের পোশাক পরলে তা নারীদের জন্য সমতা নিয়ে আসবে! আমরা ভালো করেই জানি, কীসে সমতা আসবে। ”
“সত্যিই যদি আমরা একটি সমতার সমাজ চাই, এটা আনতে আমাদেরকে সচেতনভাবে চেষ্টা করতে হবে। এর মধ্যে পুরুষরা নারীদের পোশাক পরা শুরু করতে পারে। পুরুষদের পোশাক পরেতো নারীরা লজ্জিত হয় না! তাহলে এখন থেকে কেন উভয়লিঙ্গ পোশাক নয়?
"আমাদের টি-শার্ট লিঙ্গ নিরপেক্ষ। শাড়ি তা হতে পারে।
”
এরপর তসলিমা শাড়ি পরা পুরুষের একটি ছবি দিয়ে বলেন, এই পুরুষটির দিকে তাকান, তাকে চমৎকার লাগছে।
তসলিমা নাসরিন বলেন, নারীরা চুরি পরে। পুরুষরা চুড়ি পরলে সুন্দরই লাগবে। এতে অন্তত ‘যাও চুড়ি পরে থাকো'- এর মতো বাক্যকে পুরুষদের জন্য উচ্চমাত্রার লজ্জাজনক হিসাবে বিবেচনা করা হবে না।
“আমি নারীদের শাড়ি, চুড়ি, হাই হিল পরি।
আবার পুরুষদের শার্ট, প্যান্ট, টাই, স্যুট ও জ্যাকেটও পরি। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।