নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের যে সুখস্মৃতিটুকু রয়েছে ওয়ানডে সিরিজে, তার নায়ক সাকিব আল হাসান। তিন বছর আগে ২০১০ সালে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে টাইগাররা যে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল, তার মহানায়ক ছিলেন সাকিব। চার ম্যাচেই ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। সেই সাকিব এবার ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারছেন না। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথম ওয়ানডের আগের রাতে ভর্তি হয়েছেন এ্যাপোলো হাসপাতালে।
শারীরিক অবস্থার খুব উন্নতি না হওয়ায় সিরিজের বাকি দুটি (৩১ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর) ওয়ানডে ও ৬ নভেম্বর টি-২০ ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
টেস্ট সিরিজ খেলতে কোনো সমস্যা হয়নি। ভালোভাবেই খেলেছেন। ২ টেস্ট সিরিজে রান করেছেন ১২১ এবং উইকেট নিয়েছেন ৭টি। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ফিরে পান টেস্ট অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানটি।
পিছনে ফেলেন প্রোটিয়াস অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসকে। টেস্ট সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অতীত পারফরম্যান্স দলের আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন সাকিব। আর সে সময়ই আঘাতটা আসে। প্রথম ওয়ানডের আগেরদিন ১০৩ ডিগ্রি জ্বরে আক্রান্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। জ্বর নিয়েই গত পরশু দলের সঙ্গে অনুশীলনে আসেন।
কিন্তু মাঠে নামেননি। সময় পার করেন সাঝঘরে বসে। বিকাল পর্যন্ত জ্বর থাকলেও সম্ভাবনা ছিল খেলার। জ্বর কমানোর জন্য রাতে ব্যবহার করা হয় সাপোজিটার। কিন্তু তাতেও কমেনি।
বরং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আরও বাড়তে থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে বিসিবির ডাক্তার আমিন ও ফিজিও বিভাব সিং রাত সাড়ে ৯টায় তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করেন তাকে। গতকাল জ্বর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার পবির্তন হয়নি। সাকিবের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ডা. আমিন বলেন, 'কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিষ্কারভাবে বলা যাবে তার শারীরিক অবস্থা।
' দলের ম্যানেজার এবং বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জানিয়েছেন ডেঙ্গুর কথা, 'মৌখিকভাবে শুনেছি তার ডেঙ্গুর কথা। লিখিতভাবে এখনো জানতে পারিনি। ' সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে তিনি খেলতে পারবেন কি না সে প্রসঙ্গে কিছু বলেননি আকরাম, 'এখনই বলতে পারছি না। আগে রিপোর্ট হাতে পাই। রিপোর্ট দেখে তারপর বলা যাবে, সে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন কি না।
'
২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে যে ধবল ধোলাই করেছিল টাইগাররা, তার তিন ম্যাচে সেরা হয়েছিলেন সাকিব। ১১ উইকেটের পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিসহ ২১৩ রান করে হয়েছিলেন সিরিজে সেরা। চার ম্যাচে তার ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ৫৮, ১৩*, ১০৬ ও ৩৬ রানের ইনিংস। বোলিংয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল ৪১/৪, ৪৫/২, ৫৪/৩ ও ৩৫/২। ১২৯ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৩৬৯৮ এবং উইকেট পেয়েছেন ১৬১টি।
এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে রান করেছেন ২৭.৪১ গড়ে ৩২৯ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ২৪টি।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলছেন না, তাতে দলের মিডল অর্ডারের শক্তি কমেছে এবং কমেছে বোলিং শক্তিও। ২০০৬ সালে জাতীয় দলে নাম লেখানোর পর থেকেই দলের নিওক্লিয়াস হয়ে উঠেছেন সাকিব আল হাসান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।