দল ছাড়ার ইঙ্গিত বেশ কিছুদিন ধরেই দিচ্ছিলেন সোমেন মিত্র। এবার তা স্পষ্ট করেই বলে ফেললেন তৃণমূলের এ সাংসদ। বললেন, “আগেই বলেছি দল ছাড়ব। তৃণমূলে আমি থাকব না। তবে কবে ছাড়ব, তা সময়েই বলব।
কথাগুলো বলেছেন বৃহস্পতিবার আমহার্স্ট স্ট্রিটে কালীপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অবসরে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সোমেন মিত্র বলেছেন, তৃণমূল ছাড়ার আগেই তিনি সাংসদ পদ থেকে অব্যাহতি নেবেন। আর কালীপূজার যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সোমেন মিত্র এই বার্তা দিলেন, সেখানে এক মঞ্চেই ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। কালীপূজার পরেই এই ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সোমেন বাবু।
কিছু দিন ধরেই সোমেন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্কটা শীতল যাচ্ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের।
দলীয় কার্যকলাপের সমালোচনা করায় ইতোমধ্যে এ সাংসদের পত্নী শিখা দেবীকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। সারদা-কাণ্ড এবং আরও কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিত্র দম্পতির ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছিল। তাই সস্ত্রীক তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত কিছু দিন ধরেই দিচ্ছিলেন সোমেন মিত্র। তার আগেই অবশ্য বিতর্ক বেধেছিল ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে সোমেন-শিখার উপস্থিতিতে একটি রক্তদান শিবিরে তৃণমূলের তিন সাংসদের দলবিরোধী মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে যাতে আর উপনির্বাচনের মুখোমুখি হতে না হয়, সেই সময়সীমা বুঝে নিয়েই সোমেন মিত্র সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে তার এক ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তৃণমূল ছাড়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও সমালোচনা করেন তিনি। তার বক্তব্য, “এই সরকার বাংলার পক্ষে হিতকর নয়!” একই ভাবে আমহার্স্ট স্ট্রিটের অদূরে সূর্য সেন স্ট্রিটে এদিনই আর একটি কালীপূজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমেন মিত্র বলেছেন, “খবরের কাগজ খুলে মা-বোনেদের অসম্মান-লাঞ্ছনার খবর দেখে মাথা নত হয়ে যায়! মায়ের কাছে শক্তি চাইছি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের!” সূত্র: ওয়েবসাইট।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।