হরতালের প্রাণহানীর মধ্য দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কী অর্জন করলেন- তার তিনি জানতে চেয়েছেন।
বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, “দুঃখের বিষয় হলো, আমি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে অনুরোধ করলাম। তিনি হরতাল প্রত্যাহার করলেন না।
“আমার ডাকে সাড়া দিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করলেন না। আমার কথা মানলেন না।
শুনলেন না। এতোগুলো জীবন নিয়ে তিনি কি অর্জন করলেন?”
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রোববার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করার পর শনিবার তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর।
ওই কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেও বিরোধী দলীয় নেতা তাকে বলেন, হরতালের পরই তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন।
৩৭ মিনিট স্থায়ী এই টেলিফোন আলাপে বেশকিছু বিষয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় দুই নেত্রীর মধ্যে।
পুরো কথোপকথনের অডিও টেপ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় ওঠে।
ওই টেপ প্রকাশের জন্য বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সরকারকে দায়ী করলেও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তা অস্বীকার করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বৈঠকে বলেন, “বিএনপির তরফ থেকে অনেক কিছু পেপারে দিয়ে দেয়। এজন্য পুরোটাই দিয়ে দেয়া দরকার। শোনা দরকার দেশবাসীর। আমার ঝগড়া করার মানসিকতা ছিলো না।
”
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে সেই কথোপকথন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরো বলেন, “আল্লাহ যেন আমাকে আরো ধৈর্য্য দেয়। অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে; মানুষের কথা চিন্তা করে। অবান্তর কথা শুনেছি; দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। ”
শেখ হাসিনা বলেন, টেলিফোনে বিরোধীদলীয় নেতা যেসব বিষয়ে কথা বলেছেন, তার সবকিছুরই জবাব তার কাছে রয়েছে।
“উনার সব কথারই জবাব আছে।
আমি চেয়েছিলাম সমঝোতার পথ। কিন্তু উনি তা মানলেন না। ”
কেউ যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করতে না পারে- সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকারও আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাঙালি জাতি মাথা তুলে দাঁড়াবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা বিরোধীদলের আন্দোলনের অন্যতম কারণ- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “বিচার শুরু হয়েছে।
সে বিচার করবই। বাংলার মানুষকে অভিশাপ থেকে রক্ষা করব। ”
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ সফল করতে গণভবনে এই বৈঠক হয়। কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা ও আশেপাশের জেলার সংসদ সদস্য এবং তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা
মঙ্গলবার নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অনেক দুঃখের মধ্যেও সুখের খবর আসে।
”
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর বুধবার আবারো চালু হওয়ার কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।