আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরেই স্বরূপে মাশরাফি

খেলোয়াড়ের কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ 'ফিটনেস' এবং 'পারফরম্যান্স'। বিষয় দুটি অবশ্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। একটি ছাড়া আরেকটি কল্পনা করাও কঠিন। ফিটনেস ছাড়া যেমন ভালো পারফরম্যান্স আশা করা যায় না, তেমনি পারফরম্যান্স ছাড়া ফিটনেসও মূল্যহীন। এ দুটি বিষয়কে সমান্তরালে সচল রাখাই যেন খেলোয়াড়দের আজন্ম সাধনা।

আর এই আরাধনায় যিনি সফলতা পান তিনিই হয়ে যান তারকা খেলোয়াড়। তবে এ সাধনা মোটেও সহজসাধ্য নয়! 'ফিটনেস' ও 'পারফরম্যান্স' ধরে রাখতে কোনো কোনো খেলোয়াড়কে অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে বোধহয় দেশসেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। এক যুগের এই ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ছয়-ছয়বার ইনজুরিতে পড়েছেন 'নড়াইল এঙ্প্রেস'। কিন্তু দৃঢ় মানসিকতা ও কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিবারই ফিরে এসেছেন দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে।

এবারও মাশরাফির 'ম্যাজিক্যাল' প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। দুই সিরিজ পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে ফিরেই প্রতিপক্ষের আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন।

প্রথম ওয়ানডেতে উইকেট না পেলেও ছয় ওভারে মাত্র ২০ রানে জয়ে অবদান রেখেছিলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৩ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতে আট বলে করেছেন ১৪ রান।

টাইগারদের সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মাশরাফি। দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ভোগার পরও মাশরাফির আগুন ঝরা বোলিং দেখে মুগ্ধ সমর্থকরা। তবে মাশরাফি মোটেও অবাক হননি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, 'আমি শুধু চেষ্টা করেছি জায়গা মতো বল ফেলতে। আর সেটা করতে পেরেছি বলেই বোলিং ভালো হয়েছে।

কোনো জেদ নেই, আমি শুধু নিজের মতো করে ভালো খেলতে চেয়েছি। '

দিবারাত্রির ম্যাচে আগে ফিল্ডিং নেওয়া দলই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। রাতে ফিল্ডিং কিংবা বোলিং করা সহজ নয়। কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় বোলারদের। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে মাশরাফি তিন উইকেট পেলেও কাজটা ছিল দুর্গমগিরি পাড়ি দেওয়ার মতোই।

'উইকেটে বাউন্স ছিল না। শিশির পড়ায় বল গ্রিপ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। স্পিনারদের জন্য শিশির সমস্যা করেছে। তবে দুই দিক থেকে নতুন বল দিয়ে বোলিং করায় রক্ষা পেয়েছি। '

মিরপুর উইকেট স্বভাবতই স্পিনারদের অনুকূলে থাকে।

তবে মাঝেমধ্যে বাউন্স কিংবা সুইংও করে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাউন্স সুইং তো ছিলই না, বল টার্নও করেনি। তারপরও ২৪৭ রানের টার্গেট দিয়ে বোলারদের দৃঢ়তাতেই ৪০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে মুশফিকরা। তবে এ জয়ের জন্য ব্যাটসম্যান, স্পিনার কিংবা পেসারদের এককভাবে কৃতিত্ব দিতে রাজি নন মাশরাফি। নড়াইল এঙ্প্রেস বলেন, 'টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছি।

ভালো লাগছে। এ সাফল্য দলীয় সমন্বয়ের ফল। সবাই অনেক ভালো খেলেছে। '

সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে, এখন টাইগারদের মনে এখন হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন। তবে কাজটা খুবই কঠিন।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও সবাইকে ভালো খেলতে হবে বলে মনে করেন মাশরাফি। 'তৃতীয় ম্যাচটি জিততে হলে অবশ্যই ভালো খেলতে হবে। দলীয় সমন্বয়টা খুবই জরুরি। ' কাল ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে। এই মাঠে টাইগাররা সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল।

তাই উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে ভাবছেন না মাশরাফি। 'ফতুল্লার উইকেট কেমন তা জানি না। তবে উইকেট যেমনই হোক জিততে হলে ভালো বোলিং করতে হবে। একটা সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে হবে। '

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.