সৌদি আরবে অবৈধভাবে কর্মরত সাড়ে সাত লাখ বাংলাদেশিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা সৌদিতে নির্বিঘ্নে অবস্থান ও কাজ করতে পারবেন। সাধারণ ক্ষমার আওতায় যারা দেশে ফিরতে চান তাদের আউট পাসের ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস। এর ফলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী ইতোমধ্যে ফিরে এসেছে। স্মর্তব্য, সৌদি সরকার 'নিতাকাত' কর্মসূচির আওতায় সে দেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে গত এপ্রিলে অভিযান শুরু করে। এ সময় কয়েক হাজার বাংলাদেশি আটক হয়। বৈধভাবে সৌদি আরব যাওয়া সত্ত্বেও কর্মস্থল তথা আকামা বদল করার দায়ে তারা অবৈধ হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগও হয়। তারই ফলশ্রুতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদেশি কর্মীদের নতুন করে নিজেদের কাগজপত্র জমা দিয়ে বৈধ হওয়ার সুযোগ দেন। এর আওতায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ বাংলাদেশি কর্মী ইতোমধ্যে উপকৃত হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ক্ষমার কারণে সাড়ে ৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মী লাভবান হলেও প্রায় ৩০ হাজার কর্মী কোনো কাগজপত্র না দেখাতে পারায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। অবৈধভাবে সৌদি আরবে যাওয়া কিংবা সেখানে গিয়ে কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়ায় তাদের দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী বৈধতা পাওয়ায় তাদের সে দেশে অবস্থান করা নিয়ে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান হলো। আশা করা হচ্ছে, সৌদি আরবে অবৈধ অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর সে দেশে বৈধভাবে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের পথ উন্মোচিত হবে। দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সৌদি আরব এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদিতে শ্রমবাজার উন্মোচনে দুই সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কম খরচে সরকারি ব্যবস্থাপনায় জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।