অল্প সংখ্যক ভুয়াও অনুমোদনহীন হারবাল প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে প্রকৃতরা কোণঠাসা ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রশাসন ভুয়া প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে আসলগুলোকেও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ইউনানি ও আয়ুর্বেদ কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ইউনানি আয়ুর্বেদ বোর্ডের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিচ্ছেন। সারা দেশে অনুমোদিত, সনদধারী হারবাল চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী আছেন ২০ হাজার। বংশ পরম্পরার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় জড়িত আছেন আরও ৮০ থেকে ৯০ হাজার। অথচ এর বিপরীতে দেশে ভুয়া হারবাল ব্যবসায়ী আছে চার থেকে পাঁচ হাজার। কিন্তু এই অল্প সংখ্যক ভুয়া ও অনুমোদনহীন হারবাল ব্যবসায়ীদের কারণে প্রকৃতরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কলিকাতা হারবাল লিমিটেডের পরিচালক হাকীম গিয়াস উদ্দীন বলেন, '১০ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। কোনোদিন কোনোরূপ অভিযোগ আসেনি। তারপরও প্রশাসন আমার প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে হয়রানি করে আসছে। লিখিত কোনো কিছু না দিয়ে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে। এ কারণে উচ্চ আদালতে রিট করলে আদালত তিন মাস কোনোরূপ হয়রানি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ইউনানি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাকীম মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ বুদু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই হারবাল চিকিৎসকদের হয়রানি না করতে বলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা এ নির্দেশ না মেনে প্রকৃত চিকিৎসকদের হয়রানি করছেন।
তিনি বলেন, হারবাল চিকিৎসার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যায়। এ চিকিৎসা পদ্ধতির ওষুধ চীন, নেপাল, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা যাবে। ইউরোপ আমেরিকাও এ জাতীয় ওষুধ রপ্তানি করছে।
চট্টগ্রাম ইউনানি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হাকীম ওসমান সরওয়ার বলেন, প্রতিবছর এখান থেকে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি নিয়ে বের হন। কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়াই তারা হারবাল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কেউ কোনো ডিগ্রি ছাড়াই হারবাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে। যার কারণে প্রকৃতদের সুনামও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান বাবুল চৌধুরী বলেন, কেবল হারবাল নয়, সব ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই অভিযান চলবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।