মঙ্গলবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন সেনা কর্মকতাদেরকে খুন করা হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে, সেনা কর্মতাদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। তাদের মৃতদেহকে অসম্মান করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার হলো। ”
চার বছর আগে পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার বহু আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে এ মামলার জীবিত ৮৪৬ আসামির মধ্যে ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক।
এছাড়া ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয় ২৭৭ জনকে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল (বাঁয়ে) রায়ের পর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “যে বিচার পেয়েছি তাতে মনে হচ্ছে আমরা ন্যায়বিচারই পেয়েছি। ”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল (বাঁয়ে)
যারা খালাস পেয়েছেন, তাদের বিষয়ে আপিল করা হবে কি না-নথিপত্র দেখে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।