কিন্তু সেই আশ্রয় যখন কদর্য মনোবৃত্তির তাড়নায় ভেঙ্গে পড়ে তখন বিস্ময়, অবিশ্বাস, হতাশা আর ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। যে পিতা সন্তানের প্রথম ও শেষ আশ্রয়, যে পিতা সন্তানকে আগলে রাখেন সব অশুভ থেকে, সেই পিতা নামধারী এক পাষণ্ডই ধর্ষণ করেছে তার কিশোরী কন্যাকে, অতঃপর হত্যাও!
ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের শহরতলীতে। উত্তর প্রদেশে থেকে আসা ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে তারই পিতা ও পিতার এক বন্ধু। গ্রেপ্তারের পর দুই পাষণ্ডই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
দুই মাস আগে পূর্ব উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের নিজ গ্রাম থেকে বিয়ের উদ্দেশে ছেলেবন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে মুম্বাই চলে আসে কিশোরীটি।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুর সঙ্গে মুম্বাইয়ের যে বাসায় কিশোরীটি বসবাস করছিল সেখানে এক বন্ধুসহ তার বাবা এসে উপস্থিত হয়। বুঝিয়ে-শুনিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।
কিন্তু মেয়েটি রাজি না হওয়ায় তার বাবা জোর করে কন্যাটিকে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুসহ নিজ কন্যাকে ধর্ষণ করে পাষণ্ড পিতা।
আর এ ঘটনার পরপরই মেয়েটি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিলাস মাতি বলেছেন, “তারা জঙ্গলে নিয়ে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি বেঁচে যায়। এরই এক পর্যায়ে মেয়েটি নিজের ওড়না ছিঁড়ে গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। ”
এ ঘটনায় জড়িতদের কারো নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।