আজকের যুগে মানুষের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বিয়ের মতো প্রথাগত সামাজিক অনুষ্ঠানেও আসছে পরিবর্তন। বিশেষ করে পাশ্চাত্যে। নতুন প্রযুক্তিনির্ভর কায়দায় বিয়ের অনুষ্ঠানটি আয়োজনে রীতিমতো একটি শিল্প গড়ে উঠেছে। আর এর প্রতি মানুষের আগ্রহও ক্রমশ বাড়ছে।
বিয়ের আনুষঙ্গিক প্রযুক্তির বিপুল চাহিদার কারণে কেবল যুক্তরাজ্যে চলতি বছর ওই শিল্পে এক হাজার কোটি পাউন্ডেরও বেশি অর্থের ব্যবসা হয়েছে। বর-কনের পোশাক, বিয়ের আংটি, অনুষ্ঠান আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা, অতিথি আপ্যায়ন, নিমন্ত্রণ—সব ক্ষেত্রেই ব্যবহূত হচ্ছে নানাবিধ প্রযুক্তি। এসব দায়িত্ব নিতে গড়ে উঠেছে নানা প্রতিষ্ঠান।
পশ্চিমা দেশগুলোতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনে ব্যবহার করছেন সর্বাধুনিক থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি পোশাক ও টুপি। প্রযুক্তির সাহায্যে এসব পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্রিয়জনের শুভেচ্ছাবার্তা।
এ ছাড়া বর-কনে পরস্পর আবেগ বিনিময়কালে বিশেষ পোশাকের সাহায্যে ব্যক্তিগত বার্তা বিনিময় করতে পারেন, এমন প্রযুক্তিও এসে গেছে। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে বিয়ের ও বাগদানের আংটি, কেক ইত্যাদিতেও। আংটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রযুক্তি, যা প্রতিবছর বিবাহবার্ষিকী বা অন্য কোনো স্মরণীয় দিনের কথা আগের দিন মনে করিয়ে দেবে। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রেও থাকছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিয়ের নিমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে মুঠোফোন, ফেসবুক ও সফটওয়্যার প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে।
অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় সম্পর্কে অতিথিদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এখন এসব প্রযুক্তির ওপরই ছেড়ে দেওয়া যাচ্ছে।
যুগলের পারস্পরিক অবস্থান জানাতে সক্ষম বিশেষ আংটিও তৈরি করা হয়েছে। তবে দম্পতিদের মধ্যে সন্দেহপ্রবণতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রযুক্তিটির ব্যবহার সীমিত। বিয়ের অনুষ্ঠানে যন্ত্রমানবের (রোবট) উপস্থিতিও দেখা গেছে জাপানে। আর কথা বলতে সক্ষম রোবট অস্কার বিয়েতে অংশ নেবে আগামী বছর।
বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।