আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের দাবিতে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রের বাড়িতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর অনশন! (পোলাপাইন কি আপগ্রেডরে!! )

.........
৮ম শ্রেণীর এক ছাত্র প্রেমিক পারভেজের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে প্রেমিকা নাসিমা নামের সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের খবরে গা-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক পারভেজ। এলাকাবাসী জানায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র পারভেজের সঙ্গে প্রায় বছর খানেক থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নাসিমা খাতুনের। এরপর থেকে তারা নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতো।

এলাকাবাসী আরও জানান, সমপ্রতি প্রেমিক পারভেজ প্রেমিকা নাসিমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এ বিষয়টি নাসিমা জেলে গেলে পারভেজ তার কাছ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে, এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর নাসিমা মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পারভেজের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পারভেজ গাঁ-ঢাকা দিলে বিয়ের দাবিতে নাসিমা ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়। অনেক চেষ্টা করেও নাসিমাকে সেখান থেকে সরাতে না পেরে উভয় পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়।

বর্তমানে নাসিমা ইউপি সদস্য আবু নওশাদ দিলশাদের তত্ত্বাবধানে পারভেজের বাড়িতেই অনশন করছে। এ ব্যাপারে গ্রাম্য সালিশ ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রেমিকা নাসিমা জানান, আমি ও পারভেজ পড়াশোনা শেষে বিয়ে করবো- এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্পর্ক করেছি। কিন্তু পারভেজ এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করায় সে এভাবে প্রতিবাদ করেছে। পারভেজকে ছাড়া সে বাঁচবে না।

সে তাকে বিয়ে না করলে অনশন চালিয়ে যাবে। তাতেও পারভেজ না এলে সে আত্মহত্যা করবে। ঘটনার বিষয়টি জানতে প্রেমিক পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সে পলাতক থাকায় কিছু জানা যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে ছোট- সে প্রেমের কিছু বোঝে না। আসলে সামান্য কথাবার্তা ছাড়া পারভেজের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কোন সম্পর্ক নেই।

কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবার পারভেজের পারিবারিক সচ্ছলতা দেখে এই নাটক সাজিয়ে তাদের মেয়েকে আমাদের ঘরের বউ করার চক্রান্ত করছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়ের পরিবারের লোকজন জানান, আমরা মেয়েকে পড়াশোনা করাবো ভেবেছিলাম, কিন্তু পারভেজ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমে ফেলেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমাদের মেয়ে ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এখন আমাদের পক্ষে ওই মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়, তাই পারভেজকেই আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। এ ব্যাপারে গ্রাম প্রধান ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু নওশাদ দিলশাদ বলেন, বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে।

ঘটনার সঙ্গে ছেলে জড়িত থাকলে সে হিসাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামাজিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয় এমন কোন কিছু করা হবে না। সুত্র!
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.