ওয়াসিম আকরাম তাঁর বোলিং বদলে দিয়েছেন, বদলে দিয়েছেন তাঁর জীবনও। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামির রাজসিক অভিষেকের নেপথ্যে যে পাকিস্তানের ‘গ্রেট’ ওয়াসিম আকরাম আছেন, তা তিনি স্বীকার করেছেন অকপটেই।
খুব বেশি দিন হয়নি ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে তাঁর দেখা। এই তো গত ২৬ অক্টোবর। বৃষ্টিতে পণ্ড ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ম্যাচ।
ভুবনেশ্বরের টিম হোটেলে সবাই অলস সময় কাটাচ্ছে। ‘সুলতান অব সুইং’ ওয়াসিমকে পেয়ে কিছু টিপস চাইলেন সামি। ওয়াসিম টানা দুই ঘণ্টা ধরে তাঁর হাতে তুলে দিলেন যেন নতুন পৃথিবী। ওয়াসিমের ওই টিপসগুলো কাজে লাগিয়েই তো ইডেনে নিজেকে দারুণভাবে চেনালেন এই পেসার।
ভারতীয় পিচে একজন পেস বোলারের এমন দুর্দান্ত অভিষেক সত্যিই ভাবা যায় না।
ভারতীয় পেসারদের মধ্যে তাঁর অভিষেকই সবচেয়ে স্মরণীয়। অতীতে আর কোনো পেসার অভিষেকে এতগুলো উইকেট নিয়ে শুরু করতে পারেননি। উত্তর প্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের এই ছেলে যা করলেন, তা তো হাতে গড়া এক ইতিহাসই।
সামি ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়েই খেলেন। ভিন রাজ্যের এই ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বাংলার নির্বাচকদের।
অথচ, আজ ওই ছেলেটিই মাত করে দিল সবকিছু!
এত কিছুর পরও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারেননি সামি। ব্যাপারটা ভালো লাগেনি খোদ সৌরভ গাঙ্গুলীর, ‘মাত্র একটা সেশনে ও যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিল, তাতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সে হতেই পারত। রোহিতের সঙ্গেই ওকে যুগ্মভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা দেওয়া যেত। ’
সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারকে তৃপ্তি দিচ্ছে সামির ‘সিমার’ পরিচয়টা। ভারতীয় পিচে সুইং বোলিংয়ের প্রদর্শনী দিয়ে একজন পেসার প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, মাঞ্জেরেকারের কাছে এর চেয়ে দারুণ ব্যাপার আর হয় না, ‘ভারতের মরা উইকেটে একজন পেসার বাজিমাত করল, কী বলব, মনটা তৃপ্তিতে ভরে উঠেছে।
’
শচীন-পরবর্তী যুগের ভারত, পুরোনো সব ধ্যান-ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য আসলেই দারুণ উদগ্রীব! সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।