কখনো স্বেচ্ছাবন্দী ও কখনো পালানো। ভীরু রাজনীতিবিদদের জন্য আদর্শ হয়ে উঠছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গত শুক্রবার বিএনপির কার্যালয় থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব আবার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে অজ্ঞাত স্থানে। সেখান থেকে আবার বিএনপি অফিসে আসার পলায়নপর কাহিনী নিয়ে রয়েছে নানা মুখরোচক আলোচনা। খাসখবরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার এই কাহিনী।
বিএনপির জাতীয় নেতাদের ধাড়পাকড় শুরুর পর বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে আসেন। এরপর তিনি রাত ১০টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আটক জাতীয় নেতাদের মুক্তি দাবি করেন অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচি দেয়ার হুমকি দেন। এ সময়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ জাতীয় প্রেসক্লাব ঘিরে রাখলে সেখানেই অবস্থান করেন তিনি।
বরাবরের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব বিএনপি সমর্থিত সাংবাদিকদের হাতে। সেখানে আশ্রয় পেতে বেগ পেতে হয়নি তার।
উল্টো নানা গল্প-গুজবে সময় কাটিয়ে দেন তিনি। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও রণে ভঙ্গ দেন। রিজভী বের হবেন না মনে করে নিরাপত্তা টহল কিছুটা শিথিল করা হয়। আর এ সুযোগটিই নেন তিনি।
সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের কর্মীদের সহায়তায় রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রেসক্লাবের পূর্বগেট দিয়ে একটি গাড়িতে উঠেন।
কিন্তু পুলিশ যখন তাকে দেখতে পায় ততক্ষণে রিজভী আহমেদ প্রেসক্লাব এলাকা অতিক্রম করে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হন।
রিজভী আহমেদ প্রেসক্লাব থেকে তার গাড়িতে ওঠেন সেসময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ ধর ধর করে তিনটি গাড়ি নিয়ে তাকে ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেননি।
প্রেসক্লাব থেকে নয়াপল্টন ও শান্তিনগরের কোন এক যুব নেতার বাসায় আশ্রয় নেন তিনি। সেখানেও বেশি সময় অপেক্ষা করেননি তিনি। গোপন আশ্রয় থেকে ভোর ৬টার আগেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।
পুলিশ রিজভীর এই লুকোচুরি খেলার মধ্যে তিনি নিরাপদে দলীয় কার্যালয়ে এখনো অবস্থান করছেন। এর আগেও তিনি দলীয় কার্যালয়ে প্রায় ২ মাস স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন।
এদিকে রিজভী আহমেদ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তার গাড়ি লক্ষে করে পুলিশের যেভাবে এবং যে গতিতে তাকে ধাওয়া করেছে সেখানে তার প্রাণ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। তিনি নিজের জীবন, দলের নেতাকর্মী, চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তা দাবি করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।