আগে জানতাম স্কলারশীপ দেয়া হয় লেখাপড়া করার জন্য। তবে সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটির পেজে এই ছবি দেখার পর আমি এখন সত্যিই কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশীপ কি জন্যে দেয়া হয়। কেউ কি আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন?
কেউ কেউ এইসবকে প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে চালিয়ে দেয়ার ঘৃণ্যতম ও হীনতম প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন।
আমি নিজেও প্রগতিশীল হওয়ার চেষ্টা করি।
কিন্তু প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে যারা এই ধরনের কাজকর্মকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেন, তারা এই পৃথীবিকে মধ্যযুগের পুর্ব যুগে ফিরিয়ে নিতে চান বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের সামাজিক সম্প্রীতি, মুল্যবোধকে প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে বিনষ্ট করার প্রচেষ্টা কখনোই সফল হতে দেয়া যাবেনা। তাহলে আমেরিকার মানুষ যেমন এত উন্নত, আধুনিক হয়েও সামাজিক, পারিবারিক ও মানসিকভাবে সুখে থাকতে পারছেনা, আমাদেরকেও ঠিক একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
আচ্ছা বলুনতো সবকিছু ঠিক থাকার পরেও যদি আপনি মানসিকভাবে সন্তুষ্ট ও স্বস্তিতে থাকতে না পারেন, তাহলে কি হবে এই সব প্রগতিশীলতার নাম দিয়ে পুর্বগতিশীলতা দিয়ে?
আবার বলছি যুদ্ধ করে দেশ দখল করার দিন এখন আর নেই। এখন হচ্ছে ডিজিটাল সাম্রাজ্যবাদের সময়।
এখন কোন দেশের সামাজিক মূল্যবোধ, নিজস্বতাকে ধ্বংস করে তাতে আক্রমণকারীদের চিন্তা ভাবনাকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেই ঐ কাজ করা হয়।
আমাদের দেশকে বাচাতে হবে আমাদেরই। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। নচেৎ, স্বাধীনতা থাকবে, কিন্তু থাকবে এমনভাবে, ঐ যে কথায় আছে না, কাজির গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।