আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশী সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাই এবং পুলিশের তরল স্প্রে সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানাই

যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য গতকাল পড়ন্ত দুপুরে আমরা কয়েকজন আর আমার এক অনুজ ফার্মাসিস্ট মোকাররম ভবনের খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আলাপচারিতায় মশগুল ছিলাম, হটাৎ দেখি এক প্লাটুন পুলিশের তাড়া খেয়ে মোকাররমে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কয়েকজন পুলিশের হাতে পিপার স্প্রে (এক ধরণের তরল স্প্রে), কিছু পুলিশ পদব্রজে হন্য হয়ে খুঁজছে নিরীহ সর্বহারা শিক্ষকদের, আর শিক্ষকদের তাড়াতে তাড়াতে মোকাররমের সামনের রাস্তায় এসে অবস্থান নিয়েছে পুলিশের মিনি ট্যাঙ্ক (???)! এমপিও ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের যে কায়দায় দমন করে অপদস্ত করল পুলিশ তা চরম নিন্দনীয়! পুলিশের তাড়া খেয়ে এখানে আশ্রয় নেয়া শিক্ষকদের সাথে অনুজ ফার্মাসিস্ট মোস্তাফিজ এর আলাপচারিতায় জানতে পারলাম তাঁদের এমপিওভুক্তি হয়নি বলে মাত্র মাসিক ১৭০০ টাকায় জীবনযাপন করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে এই সামান্য টাকায় তাঁদের জীবনযাপন যে দুঃসাধ্য তা বলাই বাহুল্য। এক শিক্ষকের ভাষ্যমতে তাঁরা প্রত্যেকে এই কর্মসূচিতে দূর দূরান্ত থেকে যোগ দিয়েছেন ৩/৪ হাজার টাকা খরচ করে যা তাঁদের ২ মাসের বেতনের সমান। দেয়ালে পীঠ ঠেকে যাওয়া নয়, কবরের মাটিতে এক পা দিয়ে যেসব বেসরকারি শিক্ষক তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জড়ো হয়েছেন তাঁদের উপর এই ধরণের পুলিশি নিপীড়ন এর ব্যাপারে কি ব্যাখ্যা থাকতে পারে সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে? যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব এসব সর্বহারা শিক্ষকদের অর্থনৈতিক দায়দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার, সেখানে তা না দিয়ে পিপার স্প্রে, কাদানে গ্যাস এবং পুলিশের লাঠিচার্জ উপহার দেয়ার অর্থ একটাই রাষ্ট্রকাঠামো ক্রমেই নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে! বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের উপর বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর বলপ্রয়োগ (অনেকের মতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস) কোন নতুন ব্যাপার নয়, তবে গত কয়েকদিনের পুলিশের নির্যাতননামায় নতুন সংযোজন হচ্ছে স্প্রে সন্ত্রাস! গত কিছুদিন থেকে বিভিন্ন কর্মসুচীতে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের বিশেষ ধরনের স্প্রে মারার ঘটনা বাড়ছে। মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই স্প্রে সাথে সাথেই অজ্ঞান করে ফেলতে সক্ষম।

পুলিশের নিক্ষেপ করা এই তরল গ্যাসের কারনে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশ আবারো তরল এই গ্যাস স্প্রে করে। এতে অনেক শিক্ষক গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এমনকি এই বিশেষ তরল স্প্রে করতে গিয়ে নিজেই আহত হয়ে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। এদেশের নীতি নির্ধারক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে পারে, হাজার হাজার টাকা লুটপাট করতে পারে, আর গরিব শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে গেলেই সরকারের কোষাগার খালি বলে অপপ্রচার চালাতে পারেন , এসব unethical কাজ করার পর আবার আন্দোলন দমানোর জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে দামি স্প্রেও ক্রয় করতে পারেন, সত্যি সেলুকাস ! বাংলাদেশ! [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/83737/small/?token_id=88e0003c05788afdea24f245adca15c5 আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশী সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই ধরণের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানাই।

মাসিক মাত্র ১৭০০ টাকায় জীবনযাপনকারী শিক্ষকদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি সম্পন্ন করার দাবি জানাই। পুলিশের তরল স্প্রে সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানাই।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.