মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে মোহাম্মদ নাশিদ সর্বোচ্চ ৪৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাঁকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে লড়তে হবে।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মালদ্বীপে গতকাল শনিবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দুবারের প্রচেষ্টায়ও একজন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বার এই ভোটের আয়োজন করে মালদ্বীপ। এর মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপদেশটিতে ২১ মাসের রাজনৈতিক সংকট অবসানের আশা করা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ফলাফলে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় এখন দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় দফার ভোটে নাশিদের প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ ইয়ামেন। তিনি পেয়েছেন ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ১১ নভেম্বরের মধ্যে মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই শিগগিরই দ্বিতীয় দফার ভোট হতে হবে।
মালদ্বীপের প্রথম অবাধ নির্বাচনে জয়ী নেতা মোহাম্মদ নাশিদ ২০১২ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলে আসছে।
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথমবারের নির্বাচনের ফল সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করার পর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
তবে ভোটার তালিকা নিয়ে জটিলতার জের ধরে ওই নির্বাচনও স্থগিত করে দেয় দেশটির পুলিশ। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা চলতি সপ্তাহের শুরুতে সমঝোতায় পৌঁছান এবং ভোটার তালিকায় সই করেন। আদালতের আদেশে বলা হয়েছিল, ভোটার তালিকায় সব প্রার্থীর সই থাকলেই কেবল নির্বাচন হতে পারবে।
৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার নির্বাচনের ফলাফল বাতিল হওয়ার পর থেকে মালদ্বীপের ওপর প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপ আসে। ছয় সপ্তাহ পরে দ্বিতীয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হলেও আদালতের নির্দেশনার যুক্তি দিয়ে ভোটের দিন তা স্থগিত করে দেয় পুলিশ বাহিনী।
তখন এই সন্দেহ ঘনীভূত হয় যে, দেশটির কর্তৃপক্ষ যেকোনো মূল্যে নাশিদের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চাইছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।