তুমি যে বহ্নিশিখা... তবে আবার জেগে ওঠ অনিল। ন’বছরের মাধবীলতা, তোর মেয়ে, সেদিন যে কাপুরুষের পা চেপে ধরে কেঁদেছিল; সেই জানোয়ারের উত্থিত নখরের বিজয়চিহ্ন আমার কলজের ভিতর রক্তের স্রোত বইয়ে দেয়! বদর মিয়া, ঘুমিয়ে পড়েছিস? তোর বাড়িটা তখন জ্বলছিল দাউদাউ করে। তুই নেই বলে বেয়নেটের খোঁচায় ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে এলো রক্ত, তোর বৃদ্ধ বাবার অর্ধমৃত বুক থেকে। সে বেয়নেটে আজ রক্তমাখা জাতির পতাকা বাঁধা। তোরও কি ভোর হয়নি এখনো পিনু গোমেজ! ভুলে গেছিস, কীভাবে তোর পোয়াতি বউয়ের পেট চিরে…! মরে গেলো তোর আট মাসের প্রথম সন্তান। তুই বলতিস, ছেলে হ’লে নাম রাখবি বিজয়! দ্যাখ, বিজয়ের রক্তে আজ স্নান করে বুড়ো শকুন! চল, আবার বেরিয়ে পড়ি। দাউ-জ্বলা রক্তের আগুনে, তুষ করে দেই বিশ্ববিচারকের আসন। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। যুদ্ধ কখনো শেষ হয়ে যায় না। পূর্বপ্রকাশঃ http://www.muktokontho.com/mukto90/blog/3686
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।