দ্বিতীয় জন্ম
বেশুরো বেহাগ, গলা ফাটানো বাজখাই কাকেশ্বর-এমনি আওয়াজে দুপুরের বুকে জেগেছে ফাটল। সাটল বাসে চড়ে সেই শেষ রাত্তিরে বাড়ি ফিরে কুম্ভকর্নের ঘুমে মগ্ন ছিলাম। কিন্তু কেন এমন কুম্ভকর্নের ঘুম ? আমার চারপাশে ছিল না তো এমন মৃত্যুপুরীর নিস্তব্দতা। আমার বদ্ধ প্রকোষ্টের আলোবিহীন গলিতে গলিত পুজের মুখে কেন অহেতুক এমন তড়পানি ? কেন কষ্ট ? কষ্টে কেন ভাঙ্গে বুক, আর বুকের পাঁজর। অন্ধকার কেন হল আজ বড়ো প্রিয় ? আমি কেন আনমনে মাড়িয়ে যাই কোলাহল নগরী? কেন আর টানে না আমারে রমণীয় সুখ ?
আমারও জীবনে ছিল একদা বসন্তের প্রলেপ। গোলাপের কুড়ি আর দুর্বার সাথে আমারও ছিল আলাপন। রাগ ভঞ্জনের মন্ত্র সকল পুরোহীতের মতো ছিলো কণ্ঠস্হ আমারও, ভোরের পবনে নৌকায় তুলে পাল আমিও তো বেড়াতাম বনলতা কিংবা কোন অনামিকার দেশের সন্ধানে...
আলো আধাঁরির আমাদের সেই সব দিনকাল, আহারে...
তারপর আমাদের সময়ে জন্ম নিলো চেঙ্গিসের অসংখ্য বংশধর তাহাদের ভয়ঙ্কর কর্মকান্ড স্মরণে ঘৃনায় কুচকে যায় নাক। প্রলংঙ্কর ঝড়ের পরে সময়ের শবের পাশে আমরা পেলাম অসংখ্য ক্ষুধার্থ শকুন। আর যা ছিল আমাদের সুস্হতা কুরে কুরে খেয়েছে শকুনের পাল- আমরা পালিয়েছি এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে, পালিয়েছি নপংসুক বৃহনল্লার মতো। বৃহনল্লা আড়াল করে রেখেছিল অর্জুনের পৌরুষ- কিন্তু আমাদের রোশ পরেছিল নরম পালকের আড়ালে শক্ত গহবরে !
আজ আবারো হঠাৎ ভেঙ্গেছে ঘুম বেহাগের বেসুরো আওয়াজে- দ্বিতীয় জন্মে পুনরায় শুরু করা যায় কিনা...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।