আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রচনাঃ হরতাল।

তুমি যদি ভাবো কোনও পরিবর্তন আনার জন্য তুমি খুব ছোট, তাহলে তুমি কখনও মশার কামর খাওনি। - আফ্রিকার প্রবাদ।

বর্তমানে হরতাল জিনিসটা এতোই সাধারণ ব্যাপার যে অদুর ভবিষ্যতে হরতাল নিয়ে স্কুল- কলেজে রচনা লিখতে হলে তা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না। তা যদি লিখতেই হয় তবে তা কেমন হবে তার একটি নমুনা দেই হরতাল সুচনাঃ রাজনীতি প্রত্যেক রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য উপাদান। রাজনীতির মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়।

এই রাজনীতিতে একটি অন্যতম বিষয় ক্ষমতা, যা লাভ করার ক্ষেত্রে হরতালের ভুমিকা অসীম। হরতাল এখন আমাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। বর্তমান যুগে হরতাল ছাড়া আমাদের একটি দিনও অতিবাহিত হয় না। ইতিহাসঃ হরতাল জিনিসটা কে আবিষ্কার করেছে তার স্পষ্ট কোনও প্রমান নেই। তবে বাংলাদেশে হরতাল একটি অনন্য ভুমিকা রেখে এসেছে বহু আগে থেকেই।

১৯৭১ সালে জাতিরজনক হরতাল দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু তখন কোনও ভাংচুর বা ভোগান্তি হয়নি। পরবর্তীতে দুই দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া হরতালকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যায়। হরতালের বর্তমান চিত্রঃ পূর্বে হরতাল জিনিসটা খুব প্রচলিত ছিল না। কিন্তু এখন রাজনীতিবিদেরা অনেক সচেতন হয়েছেন।

তারা এর উপকারীটা উপলব্ধি করতে পেরে এখন প্রায় প্রতিদিনই হরতাল ডাকেন। হরতাল এখন আগের মত "অ্যাকশানহীন" না, এখন এটি অনেক বেশী সক্রিয়। হরতালের আগের দিন থেকেই হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়। পূর্বে কেউ হরতাল পালন করতে না চাইলে কেউ কিছু বলত না, কিন্তু এখন সবার জন্য হরতালপালন বাধ্যতামুলক। এতে জাতির ঐক্য স্পষ্ট চোখে পরে(!)।

উপকারিতাঃ হরতাল দেশের জন্য অনেক উপকারী। আমরা জানি আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনসংখ্যা। হরতালে পিকেটার না পুলিশের লাঠি না গুলির আঘাতে অনেক মানুষ মারা যায়। ফলে দেশের জনসংখ্যার বিরাট অংশ কমে আসছে। তাছাড়া বর্তমানে পরীক্ষার মাঝেও হরতাল দেওয়ার রেওয়াজ আছে।

হরতালের কারনে একটানা পরীক্ষা হয় না, ফলে পরীক্ষার মাঝে শিক্ষার্থীরা ছুটি পেয়ে নানি-দাদির বাড়ি বেড়াতে পারে। তা ছাড়াও রাস্তা ঘাটে যানজট থাকে না এবং রাস্তার ভ্রাম্যমাণ দোকানও দেখা যায় না। ফলে দুই-একটি ভাঙ্গা বা আগুন ধরা গাড়ি ছাড়া কিছুই থাকে না, ফলে রাস্তা বেশ পরিষ্কার থাকে। উপসংহারঃ হরতাল বর্তমান জীবনের একটি অংশ। হরতাল অত্যন্ত নিরীহ একটি কর্মসূচি এবং এটি খুব উপকারী।

কিন্তু দেশের কিছু মেরুদণ্ডহীন(!) মানুষ এর বিরোধিতা করে। ফলে রাজনীতিবিদরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করতে পারে না। তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব একটি হরতালবান্ধব দেশ গড়ে তোলা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।