ফেসবুক। হালের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট। ছেলে-বুড়ো, তরুণ-তরুণী সব বয়সী মানুষের কাছে অতি পরিচিত। এক কথায় বলতে গেলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফেসবুকের পরিধি। ইতোমধ্যে ১১৫ কোটিরও বেশি মানুষ যোগ দিয়েছেন এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
এ ছাড়া ইরাক, কাতার এবং লিবিয়ার মতো দেশগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে বলেও ধারণা করছেন আইটি বোদ্ধারা। মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশে অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী যোগ দিয়েছেন মিসরে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীর চার শতাংশের বাস মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়। এসব অঞ্চলের মানুষ শুধু ফেসবুকে নিবন্ধনের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখছেন না। বরং বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকে বেশ সরব তারা। যেকোনো ঘটনা মাত্রই ফেসবুকে আপডেট দিচ্ছেন তারা। হোক সেটা ব্যক্তিগত, জাতিগত কিংবা রাষ্ট্রীয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় এক জরিপে দেখা গেছে যে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন ফেসবুক ব্যবহারকারী সুযোগ পেলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফেসবুক প্রচারণায় নিজেদের মতামত প্রদানে আগ্রহী। ফলে বাণিজ্যিকভাবে এ সব ব্যবহারকারীর কাজে লাগানোর সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে ‘সোশ্যাল বেকারস’। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের এ অস্থিরতাকে পুঁজি করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার হার বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি। অর্থাত্ ঝোপ বুঝে তারাও কোপ মারছেন। ফেসবুকের এ স্রোতধারা বাংলাদেশেও লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে গেলে এ চিত্র বেশি মাত্রায় লক্ষণীয়।
সম্প্রতি দেশের লাগাতার হরতাল, অবরোধ এমনকি আরও কিছু রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সরগরম এখানকার ফেসবুক। সাইট ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই নিত্যনতুন মন্তব্য ছুড়ছেন এ অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে। আর সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন নামিদামি কোম্পানিরা। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি ফেসবুকেও দিচ্ছেন তাদের বিজ্ঞাপন।
মোদ্দাকথা, যেকোনো রাজনৈতিক অস্থিরতায় লাভবান হচ্ছে ফেসবুক। কারণ ফেসবুককেই বেছে নিচ্ছেন এ দেশের সর্বসাধারণ। আর এ যাত্রায় অনেকটা এগিয়ে আছে দেশের তরুণ সমাজ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।