ভূমির খাজনা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ যুগ ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছে ঢাকা মহানগরীর লাখ লাখ মানুষ। প্রশাসনের দুয়ারে মাথা ঠুকেও রেহাই পাচ্ছে না তারা। ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৬১-৬২ সালে দুটি ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ কেস) মামলাকে পুঁজি করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার আসে যায়, কিন্তু এ সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। ভূমি রেকর্ড, দখল, দলিল-পর্চা সব কিছুই রয়েছে তাদের। এর পরও তারা জমির নামজারি করে খাজনা দিতে পারছে না। গেজেট ছাপা হয়নি- অজুহাতে নামমাত্র দাফতরিক চিঠি দিয়ে এসব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। গেজেট ছাপার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের, অথচ দায় চাপানো হচ্ছে জমির মালিকদের ওপর। এ কথা জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীকার করলেও রহস্যজনক কারণে যুগ যুগ ধরে প্রক্রিয়াটি আটকে আছে। মূলত হয়রানি এবং মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে গেজেট ছাপানো বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ভূমির মালিকরা অভিযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, এটা যেন তাদের অদৃষ্টেই লেখা রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার প্রয়োজনে যেকোনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু অবমুক্ত করে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়ার পর তা আর সরকারের মালিকানায় থাকে না। এ ছাড়া ভূমি জরিপে জমি আগের মালিকদের নামে রেকর্ড হওয়ার পর আইনগতভাবেও সরকারের মালিকানা লুপ্ত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন কোন আইনে সেসব জমির নামজারি ও খাজনা নেওয়া বন্ধ করেছে তা বোধগম্য নয়। ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব তপন কুমার সরকার। ঢাকা জেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা নীতিগতভাবে ভূমিমালিকদের পক্ষেই আছে। এ কারণে অতীতে সেসব জমির নামজারি ও খাজনা বহাল ছিল। কিন্তু মাঝে মধ্যে কোনো কোনো কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এবারও তা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মীর আবুল ফজল বলেন, চিঠি চালাচালি হলেও নামজারি ও খাজনা বন্ধের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শীঘ্রই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। তখন দাফতরিক পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে। ভূমিমালিকদের হয়রানি হয়- এমন সিদ্ধান্ত প্রশাসন থেকে নেওয়া হবে না বলে তিনি জানান। জোয়ার সাহারা মৌজার ভূমিমালিকরা জানান, তাদের মালিকানাধীন সম্পত্তি সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজনে না লাগায় ১৯৬৫ সালে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নোটিসের মাধ্যমে ওই বছর ১৫ অক্টোবরের মধ্যে উত্তোলিত ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তৎকালীন বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নির্দেশ দেন। অনেকেই ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেন। পরে ১৯৯২ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসন একইভাবে নোটিস দিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত নেয়। দুই দফায় ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত নিয়েও রহস্যজনক কারণে অবমুক্তকরণের গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত করা এবং নিষ্কণ্টক মালিকানার স্বার্থে রাজউক তাদের প্রয়োজনীয় জমির তালিকা প্রকাশ করে বেশির ভাগ জমিই মূল মালিকদের কাছে ছেড়ে দেয়। গেজেট প্রকাশ করার জন্য ওই তালিকায় স্বাক্ষর করেন রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য (এডমিন অ্যান্ড ল্যান্ড), পরিচালক (ভূমি), উপ-পরিচালক (ভূমি) এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। মূলত রাজউক এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির স্বত্ব আলাদা করার জন্য চূড়ান্তভাবে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয় বলে রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান।
দীর্ঘ ৫৬ বছরেও জেলা প্রশাসন কেন অবমুক্ত জমির গেজেট প্রকাশ করেনি, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ ভূমি অধিগ্রহণের গেজেট প্রকাশ করার আইনগত দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের- এ কথা ঢাকা জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা থেকে স্বীকার করা হয়েছে। বাড্ডা, জোয়ার সাহারা ও ভাটারা এলাকার ভূমিমালিকরা জানান, জমি অধিগ্রহণ হলেও সেসব জমির সিএস, এসএ, আরএস ও সিটি জরিপের কোথাও সরকারের স্বার্থ নেই। এ কারণে মালিকানার ধারাবাহিকতার স্বার্থে ভূমিমালিকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে নামজারি করে খাজনা দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ভূমিমালিকরা নিজ জমিতে ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫২ বছরে এসব জমি অনেকবার বিক্রি হয়েছে এবং মালিকের মৃত্যুজনিত কারণে মালিকানার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু কখনো সরকারের কোনো সংস্থা বা রাজউক সেসব জমি নিজেদের বলে দাবি করেনি। বরং ভূমিমালিকদের পক্ষে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অধিগ্রহণকৃত জমি অবমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক উপশহর গড়ে তোলার জন্য সরকার ১৯৬১-৬২ সালে ১৩৮ এলএ কেসের মাধ্যমে বাড্ডা, জোয়ার সাহারা, ভাটারা, লালসরাই, মহাখালী, সামাইর, ভোলা ও সূতিভোলার মোট আটটি মৌজার দুই হাজার ৭৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। ১৯৫৬-৫৭ সালে সেনানিবাস প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় বাড্ডা মৌজার ২০৯ দশমিক ৫৪ একর জমি। পরে রাজউক নিকুঞ্জ, বারিধারা, দক্ষিণ বারিধারা (বাড্ডা রাজউক জোন), বারিধারা 'জে' ব্লকসহ অন্যান্য কাজে কিছু জমি রেখে অধিকাংশ জমি অবমুক্ত করে দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিমালিকরা বিভিন্ন সময়ে অধিগ্রহণের টাকা ফেরত দিয়ে নামজারির মাধ্যমে খাজনা দিয়ে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। এ অবস্থায় হঠাৎ করে ঢাকা জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়ে নামজারি এবং খাজনা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামীম বানু শান্তি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অধিগ্রহণকৃত জমি অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভূমি অবমুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়া বিদ্যমান নেই। এ কারণে ক্যান্টনমেন্ট এবং তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেল এসব জমির নামজারি এবং খাজনা নেওয়া বন্ধ রেখেছে। ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের এসি (ল্যান্ড) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন বলেন, ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এবং লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নামজারি এবং খাজনা নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
একাধিক আইনজ্ঞ বলেন, বিদ্যমান চারটি জরিপ অনুযায়ী এসব জমির দখলদার ও মালিক সাধারণ মানুষ। সিএস, এসএ, আরএস ও সিটি জরিপের ধারাবাহিকতায় তারা নামজারি এবং খাজনা দিয়েছেন। তাই ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কিংবা এসি ল্যান্ড চিঠি দিয়ে নামজারি ও খাজনা নেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এসি ল্যান্ড বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, একটি রেকর্ড গেজেটভুক্ত হয়ে গেলে রেকর্ডের মালিককেই বৈধ ধরে নিতে হবে। এর ফলে আগের রেকর্ড বাতিল হয়ে যায়। এ ছাড়া মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু দাফতরিক চিঠির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা বেআইনি। বাড্ডা এলাকার লক্ষাধিক ভূমিমালিক একই রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিগ্রহণের কথা বলে সম্প্রতি তাদের জমির নামজারি ও খাজনা নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এসএ জরিপে ওই জমি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পক্ষে মিলিটারি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নামে রেকর্ড হওয়ায় জেলা প্রশাসনের লিখিত চিঠি ও নির্দেশে নামজারি এবং খাজনার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের এসি ল্যান্ড মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তাদের জমির অংশবিশেষ অধিগ্রহণের তালিকায়, কিন্তু অবশিষ্ট জমির নামজারি এবং খাজনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নামে। এতে তারা বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা নতুন করে বাড়িঘর তুলতে পারছে না। বাড্ডার আদি বাসিন্দা ওয়াহিদ বলেন, তিনি কিছু জমি বিক্রি করে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু নিজের নামে নামজারি করতে না পারার কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে তার স্ত্রী বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছেন। বিধবা সালেহা খাতুন বলেন, একই সমস্যার কারণে তিনি জমি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। ১৯৫৬-৫৭ সালে সরকার সেনানিবাস তৈরির জন্য বাড্ডা এলাকায় একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এর জন্য ৯১ নম্বর এলএ কেসের মাধ্যমে বাড্ডা মৌজায় ২০৯ দশমিক ৫৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৬০ সালের দিকে গুলশান এলাকায় কূটনীতিকপাড়া গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হলে সরকার নীতিগতভাবে বাড্ডা এলাকার সেনানিবাস প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। এর পর ভূমিমালিকরা ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়ে জমির দখল রেকর্ড বজায় রাখেন। বাড্ডার কফিল উদ্দিন সরকার বলেন, অধিগ্রহণ করা জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের যে টাকা গ্রহণ করেছিলেন তা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে তাদের নামে আরএস ও সিটি জরিপ সম্পন্ন করেছেন অনেক আগেই। তারা আরএস ও সিটি রেকর্ড অনুযায়ী নামজারি এবং খাজনা দিয়ে আসছেন। গত ৩০ অক্টোবর তেজগাঁও সার্কেলের এসি ল্যান্ডের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাড্ডার লক্ষাধিক ভূমিমালিকের মাথায় বাজ পড়ার দশা হয়েছে। জমির মালিকদের দাবি, বংশপরম্পরায় তারা সেখানে বাস করছেন। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কিংবা রাজউক কোনো দিন অধিগ্রহণের দাবি করেনি। বরং বিভিন্ন সময় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ও রাজউক থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের অধিগ্রহণকৃত জমি সংরক্ষিত রয়েছে। অবমুক্ত করা জমির ওপর তাদের কোনো দাবি নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসক নিজামউদ্দিন আহমেদ ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়ে অধিগ্রহণকৃত জমি ফেরত নেওয়ার জন্য নোটিস দেন। তখন প্রায় সব মালিক টাকা ফেরত দেন। বাড্ডার একাধিক ভূমিমালিক বলেন, এত কিছুর পরও ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদ এবং ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাড্ডার জনসভায় অধিগ্রহণ তুলে নিয়ে ঘোষণা দেন, এখন থেকে বাড্ডা এলাকায় অধিগ্রহণ কিংবা উচ্ছেদের কোনো আতঙ্ক থাকবে না। যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তারাই সে জমির মালিক। অন্যায়ভাবে যারা বাড্ডাবাসীকে উচ্ছেদ করতে আসবে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। পরে বাড্ডাবাসী স্থানীয় এমপি এবং মন্ত্রীদের কাছে গেলে তারা তাদের বাস্তুভিটা রক্ষার নিশ্চয়তা দেন। ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক তালুকদার বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী সরকার যেকোনো প্রয়োজনে সঠিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে জনসাধারণের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। আবার সে জমি প্রয়োজন না হলে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত পাওয়া সাপেক্ষে আগের মালিকদের ফিরিয়েও দিতে হয়। আইনি এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও জোয়ার সাহারা, বাড্ডা, ভাটারা এলাকায় ভূমিমালিকদের কেন হয়রানি করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।