স্কটল্যান্ডের ষ্ট্রাথক্লাইড ইউনিভার্সিটি (ইউকে) থেকে গবেষকরা একটি অত্যাধুনিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক জন্য গবেষণা শুরু করে যার নাম দেন Light Fidelity (Li-Fi) । লাই-ফাই এই নামটা দেয়ার পিছনে যেই কারনটা রয়েছে তাহলো এই লাইট ! অর্থাৎ, এইখানে লাইটের মাধ্যমে সব কাজ করা হয় !
আর এইখানে যেই বিশেষ লাইট ব্যবহার করা হয় তাহলো LED (light emitting diode) আর কিভাবে এই LED লাইট দিয়ে যোগাযোগ করা হয় জিগেশ করলে বলব একটা “লেড” প্রতি সেকেন্ড এ কয়েকশ কোটিবার জলে আর নিভতে থাকে ,যা আমাদের সাধারণ চোখ টের পায়না ।
আর এইভাবেই মূলত সেই লাইট তথ্য পাঠাতে থাকে আর একটা রিসিভার থাকে যা সেই লাইটকে এনালাইসিস করে তথ্য উদ্ধার করে ! এই কারণে, রিসিভার আর লেড লাইটের মধ্যে দুরত্ব এমন হতে হবে যেন সেই রিসিভার সেই লাইট দেখতে পেয়ে রিসিভ করতে পারে এর বাইরে গেলেই আর রিসিভ করতে পারবেনা কাজেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ! আর wifi এর সাথে এর তফাত কি বললে বলব ফ্রিকোয়েন্সি তে তফাত ! wifi এ ব্যবহার করা হয় রেডিও ওয়েভ যার ফ্রিকোয়েন্সি খুব বেশি না আর Li-fi এর চেয়ে আলোর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার হয় যা এর থেকে অনেক বেশি ! আর স্পিড ও wi-fi কিংবা wimax এর চেয়ে অনেকগুণ বেশি ! তবে, শুধু স্পীডের জন্যই কিন্তু এই লাই-ফাই টেকনোলজি না এর আরেকটা কারণ হলো শক্তির খরচ কম !
প্রতিটি এলইডি একটি পৃথক চ্যানেল হিসেবে কাজ করতে পারে তাই এটি খুব দ্রুত ডাটা আদান প্রদান করতে পারে এবং এর জন্য খুব কম জায়গা লাগে । প্রতিটি মাইক্রন মাপের এলইডি একটি ক্ষুদ্র পিক্সেল হিসেবে কাজ করবে এর অর্থ একটি বড় মাপের এলইডি ঘরের আলোকসজ্জা হিসেবে এবং তথ্য প্রদর্শনীর পর্দা হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে । এছাড়াও ইন্টারনেট যোগাযোগ এবং আলো প্রদান ঠিক একই সময়ে ব্যাবহার করা যাবে ।
ওয়াই-ফাই এবং লাই-ফাই এর মধ্যে পার্থক্যসমূহ
লাই-ফাই ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই ডাউনলোড করা সম্ভব। আর বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে তারবিহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে পারে। লাই-ফাই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের রিসিভারটি থাকতে হবে ডেট্রা ট্রান্সফার করা এলইডি বাল্ববের আলোর সীমানার মধ্যে। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে লাই-ফাই সংযোগ। তবে এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারলে পাল্টে যেতে পারে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিহাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।