বরিশালে চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সাড়ে ৪২ কোটি টাকার টেন্ডার শিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা মেসার্স সুলতান এন্টারপ্রাইজ-জেভির তিনটি টেন্ডার শিডিউল ও প্রায় ৭৯ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টির কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা যায়, বরিশাল নগরীর রূপাতলী ও বেলতলায় নির্মাণাধীন দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি সরবরাহের পাইপলাইন স্থাপনের চার গ্রুপের ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকার কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন গতকাল শিডিউল জমা দেওয়ার নির্ধারিত স্থান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাহারা বসায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার, জুবায়ের ও লিখনদের উপস্থিতির কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে টেন্ডার জমা দিতে পারেননি অনেকই। অবস্থা বেগতিক দেখে ১২টার দিকে মেসার্স সুলতান এন্টারপ্রাইজ-জেভির পক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রক্ষিত টেন্ডার বঙ্ েশিডিউল জমা দিতে যান তার ব্যবসায়িক অংশীদার মিজানুর রহমান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার, জুবায়ের ও লিখনসহ অন্যরা তার হাতে থাকা ৭৯ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিসহ তিনটি শিডিউল ছিনিয়ে নেন। এতে তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। পরে তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় ক্যাডাররা। এ ঘটনায় সুলতান মাহমুদ কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তার মতো অনেকেই গতকাল ক্যাডারদের বাধার কারণে দরপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন মিজান।
একইভাবে মেসার্স কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ফরহাদ এ কাজের চারটি দরপত্র জমা দিতে গেলে তাকেও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বাধা দেয়। খবর পেয়ে গোলাম মাওলা ফরহাদের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ লোকজন নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে দরপত্র জমা দেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জনস্বাস্থ্যের টেন্ডার দরপত্র ও ব্যাংক গ্যারান্টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আলম জানান, তার কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দরপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কী হয়েছে তা তার জানা নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।