বিশ্বে চরম ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ২০ লাখে। উন্নয়নশীল দেশে সংখ্যাটা উদ্বেগজনক আর আফ্রিকায় ক্ষুধার্ত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। তবে আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটা কমেছে। বিশ্বে যেমন অর্থনৈতিক মন্দা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। এ কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষুধায় পীড়িত মানুষের সংখ্যা। মঙ্গলবার জাতিসংঘ প্রকাশিত প্রতিবেদনেও এ চিত্র উঠে এসেছে। বর্তমানে বিশ্বে চরম ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ২০ লাখে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৮৬ কোটি ৮০ লাখ; সে তুলনায় ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের জরিপে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা কমেছে। ফাও-এর এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৮৪ কোটি ২০ লাখের মধ্যে ৮২ কোটি ৬৬ লাখ মানুষের বাস অনুন্নত দেশগুলোয়। আর সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকায় এ চিত্রটা আরও ভয়াবহ। সেখানে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন চরম খাদ্যাভাবে রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো, সেখানে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যাও কম। যেসব দেশে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে, সেখানে খাদ্যাভাবও কম। তবে পশ্চিম আফ্রিকায় কোনো উন্নতি হয়নি এবং আফ্রিকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে উন্নতির গতি খুবই ধীর। এ অবস্থায় জাতিসংঘের সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রায় পেঁৗছাতে হলে বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার অন্তত ১২ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে হবে দারিদ্র্যের হার। বর্তমানে এ হার ১৪.৩ ভাগ। ফাও-এর মতে, ৬২টি দেশ এই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছে, আর ছয়টি দেশ ২০১৫ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে। ২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য জাতিসংঘ নিয়েছে, তাতে তারা পেঁৗছাতে আদৌ সক্ষম হবে কি না তা-ই এখন দেখার বিষয়। ওয়েবসাইট।