সারা বিশ্বে ২০ কোটির বেশি মানুষ বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ব্ল্যাকস্মিথ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড গ্রিন ক্রসের পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।
৪৯টি দেশের তিন হাজারের বেশি জায়গায় এ সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব এলাকার মানুষ এমন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে, যা ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মতো গুরুতর।
ব্ল্যাকস্মিথ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক এবং নিউইয়র্কের সিটি ইউনির্ভাসিটির পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জ্যাক ক্যারাভানুস বলেন, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা এখনো পরিমাপ করা যায়নি। ’
ঘানার রাজধানী আক্রার আগবুব্লুসাই ডাম্পিং ইয়ার্ড হচ্ছে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি দূষিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। গবেষকেরা জানান, সরকারের কাছে এ তথ্য লুকানো নয় বরং তারা এ বিষয়ে সচেতন রয়েছে।
ক্যারাভানুস বলেন, আগবুব্লুসাইকে বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক বর্জ্যের আস্তাকুঁড়েতে পরিণত করা হয়েছে, যা পরিবেশ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
দ্বিতীয় বৃহত্তম ইলেকট্রনিকস বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ এলাকা হলো পশ্চিম আফ্রিকার ঘানা।
দেশটি বিদেশ থেকে বিশেষ করে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রতিবছর ব্যবহূত পুরোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি করে থাকে। বছরে এর পরিমাণ প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার টন। তা থেকে এক লাখ ২৯ হাজার টন বর্জ্য উত্পন্ন করে।
গবেষণা প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ ঘানার এ আমদানির পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে।
গবেষণায় দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসেবে রয়েছে ইউক্রেনের চেরোনোবিল।
এরপরই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সীতারাম নদী অববাহিকা। দূষিত বর্জ্যের কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি স্থানের তালিকায় আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার তিনটি স্থান রয়েছে। রয়েছে লাতিন আমেরিকাও।
এসব স্থান থেকে বাতাসে, পানিতে ও মাটিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে। এতে এসব এলাকার শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
জ্যাক ক্যারাভানুস বলেন, অনেক জায়গায় ভূমির এমন ক্ষতিসাধন হয়েছে, যা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই একমাত্র উপায় হচ্ছে সেখানকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং দূষণস্থলটি সিল করে দেওয়া।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ পরিবেশদূষণ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।