আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভাস্কর্যের নামে মুর্তি নির্মান

আমি মুর্তি নির্মানের বিরুদ্ধে একমাত্র ইসলামে নিষিদ্ধ বলে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম যে মুর্তি বানানো হয় চেতনা ৭১ নামে ঐ সময়ও আমি পোস্ট দিয়েছিলাম, কিন্তু তখন সরকারের দমন নীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকায় কেউ এর বিরুদ্ধীতা করে নাই। যখন দ্বিতীয় আরেকটি ভাস্কর্যের নামে মুর্তি নির্মান করা শুরু হলো তখন সিলেটের ধর্মপ্রান মুসলমান আর সহ্য করতে পারছে না বিধায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। সিলেটের ধর্মপ্রান মুসলমানদের দাবি ভাস্কর্যের নামে মুর্তি না বানিয়ে আপনারা কোন স্মৃতিস্তম্ব তৈরী করেন, যাতে আপনাদেরও আবেগ বা ইচ্ছা পরিপুর্ন হয় এবং ইসলামেরও পরিপন্থী না হয়, আর তাছাড়া আমরা মুক্তিযোদ্ধের অসম্মানকারী নই। কিন্তু শাবিপ্রবির কিছু প্রগতিশীল নামে চরমপন্থিরা তাদের ইচ্ছাই কার্যকর করতে চাচ্ছে এবং ঐ অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।

এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সিলেট শহরে একটি অনাকাখিত ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিছু প্রগতিশীল নামে চরমপন্থিদের যুক্তিঃ ১। বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ থাকবে, মন্দির থাকবে ইত্যাদি। মোটকথা সবাই সবার মত চলবে কেউ কাউকে বাধা দিবে না। আমরা ভাস্কর্যের জন্যে যা ইচ্ছা তৈরী করব, কেউ কিছু বলবে না এমনকি প্রতিবাদ করতে পারবে না।

২। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামে ভাস্কর্য মুর্তি হলেও এর বিরুদ্ধীরা ছাগু। আমার কথাঃ ১। একমাত্র দুর্নীতিবাজরা এবং মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে থাকারাই উপরের ১নং যুক্তি দিতে পারে। কারন তাদের লক্ষ্য হল নিজে যা পাই তা নেই, যেভাবে পাও সেভাবে নাও।

কিন্তু সত্যের পক্ষের মানুষ কখনও কোন মিথ্যাকে প্রশয় দিবে না। তারা মিথ্যা বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে অথবা অন্যায়কে অন্যায় বলবে। ২। “সবাই সবার মত চলবে, কাউকে আঘাত দেয়া যাবে না” এইটা যদি তাদের মুলনীতি হয়, তাইলে তারা কেমনে ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কাজ মুসলমানদের আঘাত করে করতে চায়। ৩।

তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই তারা খেপে যায় এবং কোন ধরনের সমযোতা ছাড়াই তাদের উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে চায়। এইটা কি চরমপন্থিদের কাজ না। ৪। তাদের আরেক বৈশিষ্ট্য হল, সাধারন মানুষের সমর্থন পাবে না বলে এবং যুক্তিতে না পেরে সম্মানিত ব্যক্তিদের গালাগালি করে অসম্মানিত করে। যা ইতর শ্রেনী মানুষের বৈশিষ্ট্য।

এরা হচ্ছে নব্য আবু জেহেল। আমি সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে ঐ প্রগতিশীল চরমপন্থিদের কার্যকলাপ বন্ধ করে দেশকে অস্থিতিশীলতা থেকে রেহাই করেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব। আর যদি না করেন দেশের শান্তি প্রিয় জনগন আপনাদেরকেই দোষ দিবে। বাংলাদেশের মুসলমান সচেতন হোন, অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখর হোন।

চরমপন্থিদের আশ্রয় দিবেন না, এরা সুযোগ পাইলেই মাথায় উঠে। এর জলন্ত প্রমান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম একটা মুর্তি ভাস্কর্যের নামে তৈরী করে এখন দ্বিতীয় আরেকটা তৈরি করতে চাছে। এরা ইসরাঈলের মত, সুযোগ পাইলেই মাথায় উঠে। আমাদের দাবি, ইসলামের সাথে ক্লেশ করে এই মুসলামানের দেশে কিছু করতে পারবেন না।

মুক্তিযোদ্ধের জন্যে স্মৃতিস্তম্ব তৈরী করতে পারেন কিন্তু মুর্তি না। আল্লাহু আকবার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.