আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি
প্রধান কারনঃ-
• যুদ্ধাপরাধীর বিচারঃ আমি সবসময়ই বিশ্বাস করতাম বাংলাদেশে কোন সরকার যদি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে তা করতে পারবে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই বিশ্বাস ইতিমধ্যেই বাস্তবে রুপান্তর পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় না আসে তবে এই যুদ্ধাপরাধীর বিচার মুখ থুবড়ে পড়বে , দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরা মুক্তি পাবে এবং বাংলার মাটি আবার অপমানিত হবে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগই একমাত্র পারে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং রায় কার্যকর করতে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগ এর সময় যেভাবে যুদ্ধাপরাধী সংঘটন জামাত-শিবিরের নিবন্ধন বাতিল করা সম্ভব হয়েছে তেমনি তাদের নিষিদ্ধ করতে পারবেও একমাত্র আওয়ামীলীগ।
• উন্নয়নঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা এখন প্রায় আমাদের হাতের মুঠোয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহ আর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইতিমধ্যেই ১০০০০ মেগাওয়াটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছুয়ে ফেলেছে। যেভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন চলছে তাতে এটা নিশ্চিত করে বলাই যায় অচিরেই আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবো। আর ইন্টারনেট যে এখন সবার হাতের মূঠোয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর সাথে সাথে প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই এই সরকারের সময় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে।
আমি বিশ্বাস করি কোন জাতিরই দীর্ঘমেয়াদী সরকার ছাড়া উন্নতি লাভ করা সম্ভব না। আমার এই বিশ্বাসের কারন হিসেবে আপনি যেকোন উন্নত রাস্ট্রের ইতিহাস ঘাটলেই বুঝতে পারবেন। তাই আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আবার ভোট দিয়ে রাস্ট্রক্ষমতায় আনলেই আল্লাহ্র ইচ্ছায় আমাদের রাষ্ট্র উন্নত রাষ্ট্রতে পরিনত হতে পারে।
এই দুইটি প্রধান কারন ছাড়াও আরো কারনে আমি আওয়ামীলীগকে ভোট দিবো। যার মধ্যে আছেঃ-
সংখ্যালঘুঃ আমার চোখে এখনো জ্বলজ্বল করে ২০০১ এ নির্বাচন পরবর্তী অবস্থায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের নির্মম দৃশ্যের কথা।
আমি কখনোই চাইনা বাংলাদেশে ঐ ভয়াল সময়ের পুনরাবৃত্তি ঘটুক। এমন না যে আওয়ামী লীগের সময় কোন সংখ্যালঘুই আক্রান্ত হয় না কিন্তু আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করিএই দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামীলীগই।
খেলাধুলাঃ আমি মনে করি না কোন আধ্যাত্বিক কারনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সময় বাংলাদেশ খেলাধুলায় উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করে। স্পস্টভাবেই খেলাধুলাকে আওয়ামীলীগের সময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা হয় এবং এর প্রভাবই আমরা দেখতে পাই খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে সব খেলাতেই আমরা বিশ্বমানে পৌছাতে শুরু করবো।
বাকস্বাধীনতাঃ তর্কের খাতিরে হয়তো তর্ক করাই যায় কিন্তু সাদা চোখে দেখলেও এই কথা সুনিশ্চিতভাবেই বলা যায় আওয়ামী লীগ সরকার বাকস্বাধীনতার পক্ষে। তবে বাকস্বাধীনতা যারা যথেচ্ছভাবে ব্যাবহার করতে চায় তারা কখনোই সমাজের মঙ্গল বয়ে আনে না , এটা নিশ্চয়ই সবাই মানবে। এই সরকারের সময় টক শো থেকে শুরু করে পেপার পত্রিকা এবং অনলাইনে যেভাবে সমালোচনা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। আমি বিশ্বাস করি কোন বাকস্বাধীনতায় অবিশ্বাসী দলের পক্ষে এতো সমালোচনা সহ্য করা সম্ভব না। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ই সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে স্বাধীনতা উপভোগ করেছে।
আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বাক স্বাধীনতার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এইসব নানাবিধ কারনে আমার কাছে মনে হয় না আওয়ামীলীগের কোন বিকল্প তৈরি হয়েছে যাকে ভোট দিয়ে নিজের ভোটের সঠিক ব্যাবহার করা যায়। তাই আমি আমার মূল্যবান ভোটটা নৌকায় দিবো, আপনিও নৌকায় ভোট দিন
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।