আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেসব অনুভুতিরা কবিতা হয়ে গিয়েছিলো

আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি। ১ আরেকবার এসে একটি আঁচড় দিয়ে যেও চুমু না খাও, এক কাপ চা খেয়ে যেও। ব্যাস্ত হাইওয়ের দিকে চোখ রেখে, দোকানের ছোট্ট টুলে আঁটসাট হয়ে বসে কয়েটি চুমুক মুখের কথা কেড়ে নিবে কিছু স্মৃতিচারন। আরেকবার এসে একটি নখের দাগ দিয়ে যেও হাত না ধর, চাঁয়ের দাম দেয়ার বায়না ধর বায়নার ছলে হাত দিয়ে থামিয়ে দিবে আমার হাত এতটুকু স্পর্শে কাটিয়ে দিবো পরের কবিতার শেষ শব্দ অব্দি। ২ পরস্পর শূণ্যতার ইতিহাস পড়ছি দুদিক ফেরানো দুটি দেয়াল ঘড়ি টিকটিক করছে।

ট্রেনের হর্ণ দুটো সময়কে ভাগ করে এগিয়ে যায় টিভিতে কমেডি শো টিটকারি মারে উচ্চস্বরে। মধ্যরাস্তায় চাঁদ হয়ে শহুরে ল্যাম্পপোষ্ট নামে রাতজাগা মানুষ হয়ে আমি চাঁদের নিচে আততায়ী। ৩ দেখ বৃষ্টি নেমে যাবে, মধ্যবয়সি রাতে আড়ি পেতে শোন তবে, ওম পাবে ঘুম পাতে। একটি দেয়াশলাই আমার জন্য রাখবে জীবন বাজি বারুদ ঘষে, চাবুক হয়ে নিকোটিনের পাগলা ঘোড়া। তুমি ঘুমের পাতে বৃষ্টি ছলাৎ, আমি ব্যালকনিতে ঘুম উপবাস।

ধোঁয়াগুলো বৃষ্টি ছুঁয়ে স্লোগানমুখী,থেমে যাক বিষন্নতার কান্নাকাটি। ৪ একটি চিঠি! কত শত শব্দরা মাখামাখি করে শেষ পর্যন্ত দেউলিয়া একটি উড়নচন্ডি তর্জমাহীন অনুভুতি মটরগাড়ীর চাকার গোৎ গোৎ শব্দের মত পায়চারি অনুভুতির তেল পুড়িয়ে শেষে কিছু হলো না। অথচ পাদটীকায় লেখা "শূণ্যতার ইতিহাস" ইতি বলে সৎকার সব অনুভুতিই নিমেষেই, কারো কারো নামটি পড়া হয় না আর। আবার ফিরে যাই "প্রিয়" সম্ভাষনে সেই একটি চিঠি! ৫ জোয়ান চাঁদ ফালি ফালি করে ফেলে তপ্ত রক্ত শিহরনের কাপুরুষ খুন করে আই বুড়ির কপাল চুমে চরকির শেষ সুতো তখন আঁটকে পড়ে চাঁদের কলঙ্ক কি মানুষ এমনিই বলে? ৬ নদীর জলে ভাবনার বিলবোর্ড চমকে চমকে হাসছে শুকনো হাসি হেসে যাচ্ছে সুন্দরী মডেল, খসখসে জলছায়ার অনুভুতিতে জমা ময়েশ্চার জলকনাদের প্রচারনার আন্দোলন জলচিত্র যেন ভ্যাসলিনের বিজ্ঞাপন! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.