আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খন্ড অধ্যায়



[নাঈম] ------- পকেট থেকে ৯ এম,এম টা বের করে একটু দেখলো নাঈম । অন্যদিন অপারেশনের সময় নিলয় পাশে থাকে,আজ সে আসবে না। ছেলেটার নীতি ভালো পকেটের টাকা ফুরিয়ে গেলেই আসে। টাকা থাকলে হাজার বলেও নামানো যায় না। অবশ্য আজকের অপারেশনে নিলয় থাকলে সুবিধে হতো ,আর একটা আর্মস বাড়তো।

এই লাইনে নিলয় খুব অভিজ্ঞ নাঈমের চেয়ে আগে নেমেছে সে। তাছাড়া তার কব্জির কারিগরি ক্ষমতা অনেক বেশি। কিছুদিন কারাতে ক্লাবে প্রশিক্ষন নিয়েছে বলে শোনা যায়। পিস্তলটা আবার পকেটে রেখে বের হয়ে যায় নাঈম। [জয়নাল] ------------ পায়ে পা টিপে হাটছে জয়নাল।

অদ্ভুত এই শহরে রাস্তা-ঘাটের সাথে সাথে মানুষগুলোও কি অদ্ভুত তা ভেবে কূল পায় না সে । কূল না পাওয়ার কারনে তার ভাসা বন্ধ হয় না । আমায় ভাসাইলিরে ……..গানে টান দেয় জয়নাল । দাদা-দাদির কাছে বড় হওয়া এই জয়নাল অনেক চেষ্টা করেও গানটাকে বাগে আনতে পারে নি । দাদি বলতো ‘আমার জয়নালের গলা ভালো ,গানের টানে দেখবা পরী নামাইবো ’।

দাদা ধমকের সুরে বলতেন গান বাজনা হারাম,দাদি চুপসে যেতেন অনেকদিন রেখে দেয়া কমলার মতো। আজ মনে হচ্ছে দাদাই তার জন্য কাল ছিল নাহলে দু-একটা পরী নামানো কোন ব্যাপার ছিল না। তবে একবার একটা জিনের সাথে সাক্ষাত হয়েছিল জয়নালের, এখন বুঝতে পারছে যে সে কি ভুল করেছে,ওই দিন মুখ ফুটে বললেই হতো। দাদার ঘার থেকে দোষ তুলে নেয় জয়নাল। এই জয়নালের বাবা মারা যায় কালা বাহীনির হাতে।

লোকে বলে জয়নালের বাবাও ওই বাহীনির সদস্য ছিল,না হলে মরার প্রশ্ন আসে না। এই রহস্যটার শেষ খুজতে গিয়েই জয়নাল ফেসেছিল। যাক এসব পুরনো কথা কেন যে মনে আসছে ভাবতে ভাবতে টঙ দোকান থেকে একটা মিস্টি পান মুখে পুরে দেয় সে। বামের রাস্তা ধরে এগুতে হবে। রাত বাড়ছে অন্ধকার অাজকাল একটু বেশিই তবু অন্ধকারই তার ভালো লাগে।

অনেকখানি পথ হয়ে গেল মাথাটার ঝিমানো ভাবের কারন সে বুঝতে পেরেছে,পানে নিশ্চয়ই কিছু মেশানো ছিল। চোখ অস্পষ্ট থেকে অস্পষ্ট হতে লাগলো। অস্পষ্ট চোখেই সামনে তাকালো জয়নাল, দেখলো সাত-আটজনের ছায়া মূর্তি। [নাঈম] ------- নাঈম নিলয়ের বাসায় বসে আছে। নিলয়ের বউ চুমকি পেয়াজ ও সরিষার তেল মেশানো মুড়ী দিয়ে গেছে কিছুক্ষন হলো বন্ধুত্বটা মনে হয় পাকা হতে যাচ্ছে ।

চুমকিটাকে দেখে তারও বিয়ের সাধ জেগেছে,এবার আর দেরি করবে না সে। নিলয়ের ছেলে তন্ময় এসে রিমোটে চাপ দিতেই টিভি স্ক্রীনে ভেসে উঠলো"রাজধানীতে খুন,বাগেরহাটের স্মরনখোলার জয়নাল বাহীনির প্রধান ওরফে “মটু জয়নাল বন্দুক যুদ্ধে নিহত”। নিলয় নাঈমের দিকে একবার ফিরে আবার মুড়ী খেতে শুরু করল ৷ বি:দ্র:: বানানের প্রতি খেয়াল না দিয়ে লেখা,অধমকে শুধরানোর চেষ্টা করবেন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.