স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ চিকিৎসক নেতা মিলনের স্মৃতিস্তম্ভে বুধবার ফুল দেয়ার পর তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সমলোচনার জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাংবাদিকদের কাছে এই বক্তব্য দেন।
১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নিহত হন বিএমএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন। দিনটি “শহীদ মিলন দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে দেশের রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো।
মিলন ও ছাত্রদল নেতা নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুতে আন্দোলন বেগবান হয়, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পতন ঘটে এরশাদের।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইনু বলেন, “মাঝের দুটি বছর ছাড়া নব্বই পরবর্তী ২৩ বছর ধরে রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় পার্টিও তাদের স্বৈরাচারী ধারা থেকে গণতন্ত্রের পথে এসেছে। ”
ছাত্রজীবনে জাসদে যুক্ত হয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় মিলনের মা সেলিনা আক্তার সামরিক শাসক এরশাদের সঙ্গে জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট গড়ার সমালোচনা করে আসছেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাসদ। এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি পাঁচ বছর থাকার পর সম্প্রতি মহাজোট ছাড়লেও নির্বাচনকালীন সরকারে তারা একসঙ্গেই রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে থাকার বিষয়ে ইনু দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বলেন, “যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ ও নাশকতাকে মোকাবেলা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় পার্টিও এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বলেই তাদের সঙ্গে ১৪ দলের সম্পর্ক রয়েছে। ”
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংলাপের সম্পর্ক নেই। সংলাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। প্রার্থিতা বাছাই এবং বাতিল পর্যন্ত সংলাপের সুযোগ রয়েছে। ”
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে শহীদ মিলনের স্মৃতিস্তম্ভে জাসদের পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এর মধ্যে ছিল সিপিবি, বাসদ, গণতান্ত্রিক বামমোর্চা, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। মিলনের পরিবারের পাশাপাশি মিলন সংসদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ),স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ,ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)ও শ্রদ্ধা জানায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।