বুধবার তাকে পার্লামেন্টে আসন লাভের অযোগ্য ঘোষণা করেছেন সিনেটের স্পিকার। এ পদক্ষেপে চরমভাবে হোঁচট খেল বারলুসকোনির ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবন।
তাছাড়া, এতে বিচার থেকে অব্যাহতি লাভেরও সুযোগ হারালেন বারলুসকোনি । ফলে তার বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অন্যান্য অপরাধ মামলায় এখন যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি।
বারলুসকোনিকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করার প্রশ্নে বুধবার সন্ধ্যায়ই বিতর্ক শুরু হয় সিনেটে।
বিশ্লেষকরা তখনই এ প্রস্তাবে বেশিরভাগ সিনেটরের ভোট পড়বে বলে ধারণা প্রকাশ করেছিলেন।
বারলুসকোনির বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে রোমে বিক্ষোভে জড়ো হয়া তার সমর্থকরা। তাদের উদ্দেশে বারলুসকোনি বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য এ এক শোকাবহ দিন” ।
বারলুসকোনি মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকার থেকে তার ফোরজা ইতালিয়া পার্টি প্রত্যাহার করে নিলেও সরকার আস্থা ভোটে জিতে বাজেট পাস করেছে।
কর জালিয়াতি না করার ব্যাপারে নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন দাবি করে বারলুসকোনি এর আগে সিনেটরদেরকে ভোট পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
তাকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন তার সমর্থকরাও। কিন্তু এসবকিছু উপেক্ষা করেই বারলুসকোনিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
২০১২ সালের অক্টোবরে কর জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বারলুসকোনি। অগাস্টে ৪ বছরের জেল হয় তার।
তার মতো আর কোনো রাজনৈতিক নেতাই এত ভোগান্তিতে পড়েননি জানিয়ে বারলুসকোনি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, পার্লামেন্টের বাইরে থেকেই লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।
“আমাদেরকে মাঠে থাকতে হবে। দলের নেতা আর সিনেটর না থাকলে তাতে কি? আমাদের উধাও হওয়া চলবে না,” বলেন বারলুসকোনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।