দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতিতে চলছে হরতাল, অবরোধ, যানবাহন ভাঙচুর, অগি্নসংযোগসহ নানা সহিংসতা। একের পর এক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজনীতির কলুষিত এ সময়ে চট্টগ্রামে যোগ হয়েছে প্রধান দুই দলের বড় দুই নেতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার। উল্লেখ্য, এ দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে এ হুঙ্কার যোগ হয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফলে হরতাল-অবরোধে গাড়িতে অগি্নসংযোগের সঙ্গে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের রাজনীতি। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'হরতাল করে বিএনপির সেসব নেতার নির্দেশে যানবাহন ভাঙচুর করা হচ্ছে, সেসব নেতার বাড়িতেও ভাঙচুর করা হবে।' এর পর দিন মহিউদ্দিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান ১৮-দলীয় জোটের ৭১ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন নগরীর ওয়াসা মোড়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছিলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের জনৈক নেতা (মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে) বিএনপি নেতাদের বাসা-বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। আমরা তাদের সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই_ ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।'এরপর বৃহস্পতিবার মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী আবারও বলেছেন, 'হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।