আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিকিং পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে ব্যয় বাড়ল ২

নয়টি পিকিং পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে ব্যয় বাড়ছে সরকারের ২৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আজ এ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংশোধিত প্রস্তাবনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকার পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০টি পিকিং পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ২০১০ সালে। এসব প্লান্টের মধ্যে নরসিংদীর ঘোড়াশালে ২০০ মেগাওয়াট, গোপালগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট, ফরিদপুরে ৫০ মেগাওয়াট, পাবনার বেড়ায় ৭০ মেগাওয়াট, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৫০ মেগাওয়াট, রাজশাহীর কাটাখালীতে ৫০ মেগাওয়াট, নওগাঁর সান্তাহারে ৫০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ১০০ মেগাওয়াট, দোহাজারীতে ১০০ মেগাওয়াট এবং কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময়কাল ছিল ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ২০১০ সালে প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির কথা থাকলেও ইতোমধ্যে ঘোড়াশাল বাদে বাকি নয়টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং সবগুলোই উৎপাদনে আছে। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলেও এখন এসব প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। অন্যদিকে একটি বড় প্রকল্প ডিপিপি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূল অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী ১০টি পিকিং প্লান্ট বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ছয় হাজার ৯৫৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ছয় হাজার ৮৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অর্থায়ন ছিল ১১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এই ১০টি প্রকল্পের মধ্যে বড় প্রকল্প ছিল ঘোড়াশালে ২০০ মেগাওয়াটের ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পটি। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাকি নয়টিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮৭৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কিন্তু সংশোধিত প্রকল্পে কম দামে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল বাদ দিয়ে বাকি নয়টি প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আজ একনেক বৈঠকে উত্থাপিত সংশোধিত প্রস্তাবে নয়টি প্রকল্পের জন্য ছয় হাজার ১২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংশোধিত ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে করে ১০টি প্রকল্পে যেখানে ব্যয় ছিল ছয় হাজার ৮৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, এখন সেখানে নয়টি প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ছয় হাজার ১২৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অথচ আগে এই প্রকল্পগুলোতে ব্যয় ধরা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮৭৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.