ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বৈরশাসকের পথ বেছে নেবেন না। অন্যথায় পরিণতি স্বৈরশাসকদের মতোই হবে।
“সরকারকে বলব, সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে সংলাপের মাধ্যমে নিদর্লীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পথ খুলে দিন। শান্তি, স্থিতি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখুন।
”
একই সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকাসহ দলীয় ও ১৮ দলের জোট নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানান বিরোধী দলীয় নেতা।
শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “নেতাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর উস্কানির দায়েরকৃত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রতিহিংসাজনিত এরকম মামলা দায়ের ও একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সরকার দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ”
এর আগে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি না দেয়া এবং শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে শনিবার ভোর ৬টা থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
খালেদা বলেন, “সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান তারা (সরকার) বরাবরা উপেক্ষা কিংবা চাতুর্যের মাধ্যমে এড়িয়ে যাচ্ছে।
বশংবদ নির্বাচন কমিশন এই আগুনে ঘি ঢেলেছে। তড়িঘড়ি করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু করলে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা ও দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতপূর্ণ করে তুলেছে। ”
শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের মামলা দায়ের আগে দলের ৫ শীর্ষস্থানীয় নেতা মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আ স ম হান্নান শাহ, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর মোহাম্মদ নাসির, গোলাম আকবর খন্দকার এবং তার বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ দল ও জোটের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর বিষয়টি বিবৃতিতে বিরোধী দলীয় নেতা উল্লেখ করেন।
দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর করা বিবৃতিতে খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, “বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পিয়াস করিমের বাসায় হামলা, গুলশান থানায় বোমা আক্রমণ, চট্রগ্রামে বোমাবাজি, ঢাকার আজিমপুরে গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন ঘটনায় শাসক দল ও এর সহযোগী সংগঠনের লোকজনকে পুলিশ হাতেনাতে ধরার পরেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে আমার বাসায় বোমা হামলার প্রকাশ্য হুমকি দেয়া সত্বেও ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে উস্কানির মামলা হয়নি।
”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বিরোধী দলের লোকদের মালিকানাধীন যানবাহনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রকাশ্য উস্কানি দিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে উস্কানি দায়েরের অভিযোগে কে মামলা করবে? আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু যানবাহন ভাঙচুরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ সেই বক্তব্য বিকৃত করে তার বিরুদ্ধে উস্কানির মামলা দেয়া হয়েছে। ’’
বিরোধী দলের নেতাদের বাসায় বাসায় পুলিশি তল্লাশির নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও সুপরিকল্পিত নাশকতায় যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।