আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্রোহী হাজী সেলিম

দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও দল তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় পুরনো ঢাকাবাসীর অনুরোধে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিশিষ্ট এই শিল্পপতি।

তার ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি দল থেকে মনোনয়ন চাইলেও তাকে বাদ দিয়ে সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। পুরান ঢাকাবাসীর বিশেষ অনুরোধে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এজন্য সকলের কাছে সহযোগিতা, সমর্মিতা ও সহ-অবস্থান কামনা করেছেন।

বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একাধিক মামলা হয় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে। এরপর তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন। তার অনুপস্থিতিতেই ওই সব মামলার রায় ঘোষণা হয়। এতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বঞ্চিত হন হাজী সেলিম। তার আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে।

গত নির্বাচনে হাজী সেলিম মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের পক্ষে কাজ করেছেন। তার সক্রিয় প্রচারণা ও  নেতাকর্মীদের সমর্থনের কারণেই মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন নির্বাচনে জয় লাভ করেন। কিন্তু দল ক্ষমতায় আসালেও প্রকৃত মূল্যায়ন পাননি হাজী সেলিম। তাই বলে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে এতটুকু সরিয়ে নেননি নিজেকে। বরাবরের মতো সক্রিয় আছেন দলের কর্মসূচিতে।

তাছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মূল ঘাঁটি লালবাগ মাদ্রাসা। বিগত সময়ে ওই এলাকায় হেফাজতের কর্মকা-কে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুকৌশলে মোকাবেলা করেছেন হাজী সেলিমের নেতৃত্বেই। কোনো ধরনের নাশকতা যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য অতন্দ্রী প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন হাজী সেলিম। এর আগে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।