দাগ থেকে যদি ভালো কিছু হয় দাগই ভালো
কিছুদিন আগের কথা। ।
প্রচণ্ড রোদে রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে আছি। এমন সময় একটা শিশু রিক্সাচালক আসলো। শিশু বলার কারণ সে ড্রাইভার হিসেবে এতই ছোট যে দু পা একসাথে প্যডেলে রাখতে পারে না।
সেখানে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা ভিখারিণী বসে ছিলেন। শিশুটি উনার কাছে গেল। কথাবার্তা শুনে বোঝা গেল যে তারা পূর্বপরিচিত নয়। কিন্তু শিশুটিকে তিনি নিজের নাতির মত আদর করলেন। কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে অতি পরিচিত দের মত কথা বার্তা চলল।
অনেকটা এরকম>
"আফনে বুরা বয়সে বিক্কা করেন কেরে?"
"না খাওন ফাইলে কিতা করতাম??"
"তুমি কিতা রিস্কার ডেরাইবারি কর??"
"হ...। দুফুরে খাইসেন?? "
"না মনা তুমি খাইস??"
"না একটু ফরে খামু..এই দুইডা টেহা রাহেন কিচ্চু খাইয়ে্ন..."
"না বাই; টেহা লাগত না. তুমি রাহ...তুমি কিচ্চু খাইয়..."
বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় শিশুটি তার কাছে থাকা মানিব্যগের(বসুন্ধরা টিস্যুর প্যকেট) ১৬ টাকা হতে ২ টি টাকা বৃদ্ধা কে দিয়ে আসতে চাইল। কিন্তু বৃদ্ধা টাকা নিলেন না। এই টাকা দিয়ে ওকে কিছু খেতে বললেন। আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা একজন শিশুকে ২ টি টাকা দিয়ে বলল বৃদ্ধা কে দিয়ে আসতে।
শিশুটি ঐ দুইটাকার সাথে নিজের পকেটের দুই টাকা একসাথে করে বৃদ্ধা কে ঐ ভদ্রলোক দিয়েছেন টাইপ কিছু বলে দিয়ে আসলো। শিশুটির বয়স দেখে বোঝা যায় তার খুব সম্ভবত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। কিন্তু তার যে শিক্ষা আছে তা সমাজের অনেক উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যেও নেই। থাকলে হয়তো এই শিশুটিকে রিক্সা চালাতে হতো না কিংবা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ভিক্ষা করতে হতো না ....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।