বুধবার রাতে সান্ডারল্যান্ডের মাঠে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০১১-১২ মৌসুমের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি।
হেডে গোল করে চেলসিকে সময়তায় ফেরান ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। গোলের পর ল্যাম্পার্ডের উদযাপন। ম্যাচের ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাইকার জোজি অল্টিডোরের গোলে পিছিয়ে পড়লেও তিন মিনিট বাদেই মিডফিল্ডার ফ্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরে চেলসি। বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড এডেন হ্যাজার্ডের ক্রস থেকে হেড করে গোলটি করেন ল্যাম্পার্ড।
হেডে গোল করে চেলসিকে সময়তায় ফেরান ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।
গোলের পর ল্যাম্পার্ডের উদযাপন।
৩৬ মিনিটে হ্যাজার্ডের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। যদিও ৫০ মিনিটে আয়ারল্যান্ডের ডিফেন্ডার জন ও’শিয়ার গোলে সমতা টানে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে হ্যাজার্ডের দ্বিতীয় গোলে আবারো এগিয়ে যায় ‘ব্লুজ’ নামে পরিচিত চেলসি।
হ্যাজার্ডের গোলে আবারও এগিয়ে যায় চেলসি। ৮৪ মিনিটে স্কটল্যান্ডের ডিফেন্ডার ফিল বার্ডসলির আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান ৪-২ হলে সহজ জয় দেখছিল জোসে মরিনিয়োর দল।
হ্যাজার্ডের গোলে আবারও এগিয়ে যায় চেলসি।
তবে নাটকীয়তার তখনও শেষ নয়। দুই মিনিট পরেই গোল করে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন বার্ডসলি।
তবে স্টেডিয়াম অব লাইটে সমর্থকদের মনে আলো জ্বালাতে পারেনি সান্ডারল্যান্ড। মূল্যবান তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে অতিথিরা।
ম্যান সিটির জয়
নয় মিনিটে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার স্যার্হিও আগুয়েরো এবং ২৪ ও ৭৪ মিনিটে আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরের জোড়া গোলের সুবাদে ওয়েস্ট ব্রমউইচের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া ম্যান সিটি সহজ জয়ের স্বপ্নই দেখছিল।
ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দেন আগুয়েরো। গোলের পর ম্যান সিটি খেলোয়াড়দের উদযাপন।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে তাদের রোমানিয়ার গোলরক্ষক কোস্টাল পান্তিলিমোনের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১। সার্বিযার ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার কোলারোভ বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে যে শটটি নেন তা গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দেন আগুয়েরো।
গোলের পর ম্যান সিটি খেলোয়াড়দের উদযাপন।
ইনজুরি সময়ে নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ভিক্তর আনিচেবে ব্যবধান আরো কমালে অঘটনের শঙ্কা জাগে অতিথি শিবিরে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে তারা।
১৪ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি দ্বিতীয় স্থান ও ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ম্যান সিটি তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে।
৩৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে আর্সেনাল। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীদের জয়ের দিন ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেন ভেঙ্গারের দল ২-০ গোলে হারিয়েছে নবাগত হাল সিটিকে।
বুধবার রাতের অন্যান্য ম্যাচে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেসের দুর্দান্ত চার গোলের সুবাদে নরউইচ সিটিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল।
তবে এভারটনের কাছে একমাত্র গোলে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এছাড়া অ্যাস্টন ভিলা ৩-২ গোলে সাউথহ্যাম্পটনকে, সোয়ানসি সিটি ৩-০ গোলে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে এবং টটেনহ্যাম ২-১ গোলে ফুলহ্যামকে হারিয়েছে।
স্টোক সিটি ও কার্ডিফ সিটির ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।