আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর গেজেট প্রকাশ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই গেজেটে বলা হয়, নতুন এই বেতন কাঠামো চলতি ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে।  
আগামী জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন ও মজুরি পাবেন।
শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে। ”
গত ২১ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের ১০ম সভায় এই মজুরি চুড়ান্ত হয়।
নবম সভায় এই নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হলে মালিকপক্ষ প্রথমে তা প্রত্যাখান করলে পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর মেনে নেয়।


তবে মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত মূল বেতন তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
মজুরি কাঠামোর সর্বশেষ গ্রেড অর্থাৎ, সপ্তম গ্রেডে একজন শ্রমিক ৫৩০০ টাকা পাবেন। এর মধ্যে মূল মজুরি হবে তিন হাজার টাকা। এর ওপর ৪০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ১২০০ টাকা, ২৫০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২০০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ৬৫০ টাকা রয়েছে।
এছাড়া প্রতি কর্মদিবস ২৫ টাকা হারে ২৬ দিনের খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ৬৫০ টাকা ধরা হয়েছে।


প্রতিটি গ্রেড শ্রমিকরা মূল মজুরির সঙ্গে অন্যান্য গ্রেডের মত বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত ও খাদ্য ভর্তুকি ভাতা পাবেন।
তৈরি পোশাক খাতে সপ্তম গ্রেডে সাধারণত বিভিন্ন সহকারী শ্রমিকরা (যেমন-সহকারী অপারেটর, সহকারী কাটার, সহকারী মার্কার, লাইন আয়রনম্যান ইত্যাদি) কাজ করেন।
ঘোষিত গেজেটে বলা হয়েছে, শ্রমিক ও কর্মচারীরা বর্তমানে যেসব গ্রেডে কর্মরত আছেন তাদের সেই গ্রেডে রেখেই মজুরি বাড়িয়ে নির্ধারণ করতে হবে। তাদের বর্তমান গ্রেড থেকে নিচের গ্রেডে নামানো যাবে না।
গেজেটে একই সঙ্গে সুয়েটার কারখানার শ্রমিকদের মজুরিও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।


এতে বলা হয়, সুয়েটার কারখানায় কর্মরত বিভিন্ন শ্রেণীর শ্রমিকদের এমন হারে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে যাতে তারা বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি হারের চেয়ে কম মজুরি না পান।
সুয়েটারসহ অন্যান্য সকল পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি ৫ শতাংশ হারে বাড়বে বলে উল্লেখ আছে গেজেটে।
কোনো কারখানা যদি ন্যূনতম মজুরি হারের চেয়ে বেশি মজুরি দিয়ে থাকে ও অন্যান্য ভাতাও বেশি হারে দিয়ে থাকে তা নতুন মজুরি হার বাস্তবায়নের পর কমানো যাবেনা বলেও গেজেটে  নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যেমন, কোনো কারখানা ৭০০ টাকা খাদ্য ভাতা দিলে তা এখন ৬৫০ টাকা করা যাবে না। ৬৫০ টাকা ধরে বাকি ৫০ টাকা অতিরিক্ত খাদ্য ভাতা হিসেবে দিতে হবে।


শ্রমিকদের পাশাপাশি কর্মচারীদের বেতন ভাতাও বাড়ানো হয়েছে নতুন কাঠামোতে। কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ধরা হয়েছে ৫৬৫০ টাকা। যাদের মুল বেতন ৩ হাজার ২৫০ টাকা।
কর্মচারীদের বেলায় গেজেটে ৪টি গ্রেড ধরা হয়েছে। সর্বনিম্ন স্তরে আছে পিয়ন, দারোয়ান, চেকার, কুক, সুইপার।

যারা ন্যূনতম বেতন পাবেন। এছাড়া কর্মচারীদের সর্বোচ্চ গ্রেডের ন্যূনতম বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা।  
কর্মচারী খাতের শিক্ষানবিস কর্মচারীরা ৪ হাজার ৩২০ টাকা মজুরি পাবেন। তাদের শিক্ষানবিস কাল হবে ছয়মাস।
মাসে ২৬দিন সাধারণ কর্মদিবস ধরা হবে।

প্রতিদিন একজন শ্রমিকের সাধারণ কর্মঘন্টা হবে ৮ ঘন্টা।
তবে দুপুরের খাওয়া ও বিশ্রামের সময় সাধারণ কর্মঘন্টারর মধ্যে পড়বে না। কিন্তু বিশ্বব্যাপি সাধারণ কর্মঘন্টার মধ্যেই দুপুরের খাওয়া ও বিশ্রাম ধরা হয়।
অর্থাৎ দুপুরের খাওয়া ও বিশ্রামের সময় বাবদ ১ ঘন্টা যোগ করে পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের সাধারণ কর্মঘন্টা হবে ৯ ঘন্টা।  
শিক্ষানবিসীকাল হবে তিন মাস।

এসময়ে একজন শ্রমিক প্রশিক্ষণকালীন ভাতা হিসেবে সর্বসাকুল্যে চার হাজার ১৮০ টাকা বেতন পাবেন। তাদের মুল বেতন (বেসিক) হবে দুই হাজার ২০০ টাকা।
গেজেটে বলা হয়, কারখানা মালিক যদি মনে করেন প্রথম তিন মাসে কাজের মানের উন্নতি হয়নি তাহলে আরও তিন মাস শিক্ষানবিস হিসেবে তাকে কাজ করাতে পারবেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.