নেলসন ম্যান্ডেলাকে হারিয়ে ‘পিতা’ হারানোর শোকে কাঁদছে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। কিন্তু আরও একজন কাঁদছেন স্বামী হারানোর শোকে। তিনি গ্রাসা মিশেল। ম্যান্ডেলার স্ত্রী, যিনি কিংবদন্তির ম্যান্ডেলাকে আলাদা করে জেনেছিলেন ব্যক্তি ম্যান্ডেলা হিসেবে।
১৯৯৮ সালে যখন বিয়ে হয়, তখন ম্যান্ডেলার বয়স ৮০ বছর।
আর গ্রাসার ৫২। এটি ছিল ম্যান্ডেলার তৃতীয় বিয়ে, গ্রাসার দ্বিতীয়। গ্রাসার প্রথম স্বামী সামোরা মিশেল ছিলেন মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৮ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। আর দ্বিতীয় স্ত্রী উইনির সঙ্গে ম্যান্ডেলার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ১৯৯৬ সালে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত গ্রাসাই একমাত্র নারী, যিনি দুটি দেশের ফার্স্ট লেডি হতে পেরেছেন।
গ্রাসা আর ম্যান্ডেলার বয়সের ব্যবধান ছিল ২৭ বছর। কিন্তু দারুণ সুখী ছিলেন তাঁরা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘আমি চমৎকার এক নারীকে ভালোবেসেছি। অনেকটা দেরি হয়ে গেছে, তা নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ নেই।
তাঁর ভালোবাসা আর সমর্থন পেয়ে এই শেষ বয়সে আমি একটি ফুলের মতো ফুটেছি। ’
আর গ্রাসা, তিনি দারুণ সুখী ম্যান্ডেলাকে বিয়ে করে। ২০০৮ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রাসা বলেছিলেন, ‘তিনি সত্যিই দারুণ একজন স্বামী। জীবনের পড়ন্ত বেলায় আমাদের দেখা হয়। তত দিনে আমরা দুজনই জীবনে সঙ্গীর মূল্য কী, তা জেনে গেছি।
এ জন্যই আমরা আমাদের সম্পর্কটা উপভোগ করেছি বিশেষভাবে। প্রতিটি দিনকেই আমরা নিই জীবনের শেষ দিন হিসেবে। ’
কিংবদন্তির ম্যান্ডেলাকে আলাদা করে চিনতে শিখেছিলেন গ্রাসা। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে জানি একজন মানুষ হিসেবে। কিন্তু মানুষ তাঁকে জানে একজন কিংবদন্তি হিসেবে।
এ নিয়ে মাঝে মাঝে কিছুটা ধন্দে পড়ি। কিন্তু আমি শিখে গেছি, কিংবদন্তি মানুষটিকে কীভাবে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আলাদা করে পেতে হয়। ’ দ্য গার্ডিয়ান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।