জীবনের যাত্রায় কত কিছুই মঞ্চস্থ হোল । কত বন্ধু বান্ধব হল , কেউ ক্লাসমেট , কেউ রুমমেট , কেউ হল মেট, কেউ কলিগ , কেউ ইউনিভার্সিটি মেট , কেউ টিএসসি মেট, কেউ পাড়া মহল্লার বন্ধু , কেউ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বন্ধু, স্কুল – কলেজ এর বন্ধু তো আছেই । জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতের চড়াই উতরাইয়ে আরও কত রকম পরিচিত বন্ধু তৈরি হয়েছে । কিন্তু সর্বশেষ সংযোজন হল ফেসবুক বন্ধু বা ব্লগার বন্ধু । অন্যসব বন্ধুদের থেকে এর আবার বৈশিষ্ট আরেক রকম ।
এখানে কিছু বিশেষত্ব জাহির করতে হয় । সেই জাহিরের চোটে ফেসবুক খুললে দেখা যায় রিতিমত বিকট সব পাণ্ডিত্য । সেই পাণ্ডিত্য এমন পর্যায়ে মাঝে মাঝে পৌছায় যে আমার মনে হয় নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কমিটি তাদের মনোনয়নের ঝামেলাটা ফেসবুক থেকে সেরে ফেললেই পারে । বাংলা শব্দ ব্যবহার ও প্রয়োগে রবিন্দ্রনাথ – নজরুলের অবদান সকলেই জানে কিন্তু একটি বাংলা শব্দের নানা প্রতিশব্দ নানামুখী ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়নি । তখন তো আর কেউ জানতো না ফেসবুক আসবে ।
জানলে হয়তো শব্দের ও প্রতিশব্দের ব্যবহার নিয়ে উনারা একটি নীতিমালা তৈরি করে যেতে পারতেন । এখন নীতিমালাহীন অবস্থায় শব্দ প্রয়োগে বাধ সাধার কোন উপায় নেই । সভা সমিতির উপর নিষেধাজ্ঞা করা সম্ভব বলে তো আর শব্দ ব্যাবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় না । তাহলে আর একটি ভাষা আন্দোলন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে । এমনিতেই আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে , আন্দোলনের উপর থিসিস করার জন্য বিদেশীদের আনাগোনা বেরে যাওয়া দেখে তা বোঝা যায় ।
তারপরও বাংলা শব্দের একটি সম্মান আছে । আর বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা হওয়ায় বাংলা শব্দের ব্যবহারকারীদের একটি আন্তর্জাতিক দায়িত্ব আছে । সেই দায়িত্ব আজকালকার ফারমজাতের জেনারেশনদের বুঝতে হবে । এই বাংলা ভাষা , এই বাংলাদেশ ইত্যাদি অর্জন তাদের দাদা নানারা করে গিয়েছে বলে এটাকে সহজলভ্য মেনে এই দেশের এই ভাষার ব্যবহার যেন হাই ব্রিড না করে সাধারন ভাবে ব্যবহার করা হয় আজকালকার ফেবু, ব্লগার ব্যবহারকারীদের কাছে এই আহবান রইলো ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।